যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় প্রথমবারের মতো জিটুজি ভিত্তিতে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি নর্স স্ট্রাইড জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙরে পৌঁছেছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পানামার পতাকাবাহী জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরেনোঙ্গর করেছে।
দায়িত্ব মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে ১৩দশমিক ৩৯ মিটার ড্রাপট এবং ১৯৯ দশমিক ৯৯ মিটার জাহাজটিতে ৩৪ হাজার ১৭০ মেট্রিক টন গম রয়েছে, যা সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ১ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করার কথা রয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত গমের নমুনা সংগ্রহ ও খালাস প্রক্রিয়া মনিটরিং করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম কামরুজ্জামান। জাহাজ থেকে গমের নমুনা সংগ্রহ করে গমের গুনতমান পরীক্ষা নিরাক্ষা করার কথা রয়েছে।
এরআগে দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়া, ইউক্রেন ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে গম আমদানি করা হতো। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর প্রেক্ষাপটে দেশটি থেকে গম আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস হুইট অ্যাসোসিয়েশনের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান এগ্রোক্রপ ইন্টারন্যাশনালের কাছ থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে এ গম কেনা হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি টন গমের মূল্য ধরা হয়েছে ৩০২ মার্কিন ডলার। মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির প্রস্তাব গত ২৩ জুলাই ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি অনুমোদন করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আলোকে বাংলাদেশ সরকার প্রথমবারের মতো সরকার টু সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানি কার্যক্রম শুরু করছে। এই চুক্তির আওতায় মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে।
যার প্রথম চালান হিসেবে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি নর্স স্ট্রাইড জাহাজটি শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙরে পৌঁছেছে।
