
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ নিহত হয়েছেন। তিনি আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান ছিলেন।
আজ বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে এপিবিএন-এর এসপি শিহাব কায়সার খান বলেন, ‘এশার নামাজের পরে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ নিজ অফিসে অবস্থান করছিলেন। রাত পৌনে নয়টার দিকে একদল অস্ত্রধারী অকস্মাৎ এসে মুহিবুল্লাহকে লক্ষ করে পরপর ৫ রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সাধারণ রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় এপিবিএনের সদস্যরা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কুতুপালং এমএসএফের হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুহিবুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন। ৫ রাউন্ড গুলিতে তিনটি তার বুকে বিঁধেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। পরে নিহতের লাশ উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।’
আরেক রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ গণমাধ্যমকে বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়া কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ইস্ট-ওয়েস্ট ১ নম্বর ব্লকে তার অফিসে তাকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ক্যাম্পের ‘এমএসএফ’ হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটসেরর চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিলেন।
রোহিঙ্গাদের যত সংগঠন ও নেতা রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম এই মুহিবুল্লাহ। মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ে গড়ে তুলেছেন সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানরাইটস।
তবে তিনি বেশি আলোচনায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে। এরপর বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করলে তিনি এর বিরোধিতা করে প্রত্যাবাসন আটকে দেন।