ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সিনহা হত্যায় আমামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছে রবিবার। দিনব্যাপী অসামাপ্ত যুক্তিতর্কে প্রথম বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপক্ষের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।

এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তায় সাবেক ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

জেলা জজ ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে বাদি পক্ষে যুক্তিতর্কে আরো অংশ নেন ঢাকা থেকে আগত সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান।

তিনি সাক্ষীদের জবানবন্দি ও আইনের বিভিন্ন রেফারেন্স উল্লেখ করে আদালতের কাছে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘সব ধরনের সন্দেহের ঊর্ধ্বে উঠে প্রসিকিউশন চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করেছেন, তাই আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে- আইন ও পদ্ধতির আলোকে সর্বোচ্চ শাস্তি তথা ন্যায় বিচার কামনা করছি।’

দীর্ঘ বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ‘আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে মেজর সিনহাকে হত্যা করেছে। পুলিশের কিছু বিপথগামী সদস্য দেশের একজন মেজরকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে- এতে সার্বিকভাবে সমগ্র পুলিশের কোনো দোষ নেই।

সৈয়দ রেজাউর রহমানের দাবি, মামলা দায়ের থেকে শুরু করে তদন্ত, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ, অভিযোগপত্র দায়েরসহ সবকিছুই আইন ও পদ্ধতি মোতাবেক যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি ছাড়াও রাষ্ট্রপক্ষে আরো বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ও মোহাম্মদ মোস্তফা।

রাষ্ট্রপক্ষের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম আদালতে তার বক্তব্যের শুরুতে মেজর সিনহা হত্যায় অভিযুক্ত ওসি প্রদীপের সমস্ত রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ও পদক বাতিলের ব্যবস্থা নিতে মৌখিকভাবে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি জানান, কেননা, ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে ২০৪ জনের বেশি নিরীহ মানুষকে বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম আরো বলেন, এই মামলায় ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের জেরা শেষ হওয়ার পর ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় ১৪ জন আসামি আদালতে তাদের লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে মেজর সিনহা নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা করে। ঘটনার পর গত বছরের ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলীসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।

আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা ও র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

আজকের দিনব্যাপী যুক্তিতর্ক অসামাপ্তভাবে আসামি পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ জাকারিয়া ও অ্যাডভোকেট শামসুল আলমের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print