রাঙামাটিতে কলেজছাত্রীর ‘রহস্যজনক’ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাঙামাটির জেলার জুরাছড়ি উপজেলার ৪ নম্বর দুমদুম্যা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বগাখালি এলাকার সাধন চাকমার মেয়ে পূর্ণিমা চাকমা (১৯)। তিনি রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। পড়শোনার জন্য শহরের রাজবাড়ি এলাকার একটি বাসায় থাকতেন।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মাকসুদুর রহমান তালুকদার জানান, গতকাল এক কলেজ ছাত্রীকে জরুরি বিভাগে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ সকালে কলেজ ছাত্রীটির ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পুলিশকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর ধরণ সম্পর্কে বলা যাবে।
রাঙামাটি কোতোয়ালী থানার এস আই মো. রমজান আলী জানান, ‘ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে যে বাসায় মেয়েটি থাকতেন তাদের পক্ষ থেকে একটি অবহিত আবেদন থানায় জমা দেয়া হয়েছে।’
অবহিত পত্রে আবেদনকারী নিকিতা দেওয়ান উল্লেখ করেন, ‘পূর্ণিমা চাকমা দুর্গাপূজার ছুটি শেষে ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে আমার বাসায় ফিরে। পূর্ণিমার পরিচিত আমার প্রতিবেশী গান্ধী মাসি তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি রুমে তাকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলে থাকতে দেখেন। মাসি চিৎকার করলে আমি রুমে গিয়ে তাকে নামিয়ে দ্রুত রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
এদিকে পূর্ণিমার সহপাঠীদের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ‘পড়াশোনার সুবাধে রাঙামাটি জেলা শহরে বসবাস করতেন পূর্ণিমা। জুরাছড়ির মেয়ে হলেও সম্প্রতি নতুন করে বাসা বদলানোর কথা বলতেন। তবে মেয়েটির সঙ্গে ‘বড় কোনো অন্যায়’ করা হয়েছে। ভাড়া বাসার মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার মোবাইলের কল রেকর্ড চেক করলে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে।’
