ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

আমি অন্যায়টা কী করেছি? প্রশ্ন শেখ হাসিনার

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দিয়ে ‘উন্নত চিকিৎসার সুযোগ’ করে দেওয়ার পরও কেন দলটি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কথা বলে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে, তাকে আমি এইটুকু সুযোগও দিয়েছি। আর কী চায় তারা? তারপরও কিসের ডেমোস্ট্রেশন? যেহেতু সে অসুস্থ, তাকে আমরা তার বাসায় থাকতে দিয়েছি এবং তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কই জেলখানায় এই রকম কখনো তো কাউকে এই সুযোগ দেওয়া হয় না। এমনকি তিনি মেইড সার্ভেন্টও নিয়ে গেছেন। কারাগারে মেইউ সার্ভেন্ট পাওয়া যায়- এটা কখনো শুনেছেন আপনারা? আজকে আমি শুনলাম আমার বিরুদ্ধে অনেক ডেমোনেস্ট্রেশন দেওয়া হচ্ছে। আমার প্রশ্ন আমি অন্যায়টা কী করেছি? আমি বাংলাদেশের উন্নতি করেছি, দারিদ্র্যের হার কমিয়েছি, বাংলাদেশের মানুষকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি।’

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সময় সোমবার ভিডিও কনফারেন্সে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক নাগরিক সংবর্ধনায় এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে যাবজ্জীবন সাজার রায় মাথায় নিয়ে লন্ডনে পালিয়ে আছেন, সে বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেছেন, সাহস থাকলে তার দেশে ফেরা উচিত, রাজনীতি করতে হলে ‘সাহস দেখাতে হয়’।

সরকার যে স্বাক্ষরতার হার বাড়াচ্ছে, দেশের মানুষ যে শিক্ষিত হচ্ছে, সেটা বিএনপির ‘পছন্দ না’ মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা বলেন, “অবশ্য সেটা পছন্দ নাই হতে পারে। কারণ খালেদা জিয়া মেট্রিকে পাস করেনি। জিয়াউর রহমান কেবলই ইন্টারমিডিয়েট পাস ছিল। আর তারেক জিয়া তো ফেল করতে করতে এখন নাকি অখ্যাত কোথা থেকে সে পাস করেছে শোনা যায়।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘এত ভয় কিসের? দেশে যায় না কেন? আমার বিরুদ্ধে যখন মামলা দিয়েছে আমি তো জোর করে দেশে গিয়েছি, তখন আমাকে আসতে দেয় না। তো দেশে চলে আসুক যদি সাহস থাকে। আর রাজনীতি করতে হলে সাহস দেখাতে হবে। পলায়ে থেকে খালি বোমা মেরে, আগুন দিয়ে, আর ডেমোনস্ট্রেশন দিয়ে তো চলবে না।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “তারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে! আমার কথা হচ্ছে তারা ভোটটা পাবে কোত্থেকে, যেখানে নেতৃত্বশূন্যতা রয়েছে? নেতৃত্বে সাজাপ্রাপ্ত আসামি, পতালক আসামি। সেই নেতৃত্বকে কি জনগণ ভোট দেবে? আপনারা বলেন, কোন আশায় দেবে?”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আর দরিদ্র থাকবে না, আর পেছাবে না। এরা চাচ্ছে বাংলাদেশ পিছিয়ে যাক। কারণ আমি থাকলে ডেভেলপমেন্ট হবে এবং আমি না থাকলে এগুলো স্থবির হবে। আর ওদের মত চোর-চোট্টারা যদি ক্ষমতায় আসে তো বাংলাদেশ রসাতলে যাবে।’

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের ২৬ তম আসরে যোগ দিতে ৩১ অক্টোবর গ্লাসগোতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৩ নভেম্বর তিনি লন্ডনে যাবেন। এরপর ৯ নভেম্বর যাবেন প্যারিস সফরে। দুই সপ্তাহের সফর শেষে আগামী ১৪ নভেম্বর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print