
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সরকার জ্বালানি তেলের দাম আবারো অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। কেরোসিন ও ডিজেলের দাম ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা করা হয়েছে। এক লাফে ২৩% দাম বাড়ানো কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে এবং বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কোন রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এবং দেশের বাস্তব অবস্থাকে বিবেচনায় না নিয়ে হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি জনগণকে বিস্মিত করেছে। কোনো দায়িত্বশীল ও জনগণের সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এমনিতেই চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা। চট্টগ্রাম ওয়াসাও আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে পানির দাম ৫% বাড়ানোর ঘোষনা দিয়েছে। এদিকে নতুন করে সরকার ডিজেল কেরোসিন ও এলপি গ্যাসের দাম বাড়ানোয় “মরার ওপর খাড়ার ঘা” হিসেবে জনগণের জীবনযাত্রাকে বিপন্ন করে তুলবে। এতে কৃষি উৎপাদনে সেচ খরচ, পরিবহনে যাত্রী ভাড়া ও পণ্য পরিবহন ব্যয় এবং গৃহস্থালি ও হোটেল রেস্টুরেন্টে রান্নার ব্যয় বাড়বে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা। দাম বাড়ানোর প্রতিযোগীতা দেখে মনে হচ্ছে দেশটা এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে।
তিনি অবিলম্বে এই বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার আহবান জানান।
তিনি আজ শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে আসন্ন ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় এসব কথা বলেন।
প্রস্ততি সভায় আগামী ৭ নভেম্বর রবিবার সকাল ১১ টায় নগরীর ষোলশহর ২নং গেইটস্থ বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ৮ নভেম্বর সোমবার বিকাল ৩ টায় কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে আলোচনা সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।
এসময় ডা. শাহাদাত বলেন, এই সরকার নির্বাচিত সরকার নয়, যার কারণে তাদেরকে কোথাও জবাবদিহি করতে হয় না। তাই তাদের ব্যবসায়ী মুনাফা ও পকেট ভারী করার জন্য সব কিছুর দাম বাড়িয়ে চলছে। সব কিছুর দাম বাড়িয়ে এই সরকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে দমনমূলক আচরণ করছে। এলপি গ্যাসের নতুন দাম ১০৯ টাকা ৪২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ২৫৯ টাকার পরিবর্তে এখন এক হাজার ৩১৩ টাকায় বিক্রি হবে। সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির আর্থিক দায় জনগণের কাঁধে চাপাতেই জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে সরকার। দেশবাসীকে সরকারের এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সরকারের ব্যর্থতায় বাজারি শোষণে জনগণ যখন দিশেহারা, সে সময় ডিজেল কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি জনগণের ওপর আরেক দফা হামলার সমতুল্য। এমনিতেই বাজারে প্রায় সব পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। এসময় ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। জনগণের ক্রয়ক্ষমতা ও বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় না রেখে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মানুষের প্রতি পরোক্ষ নিপীড়ণ। এই নিপীড়ন মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যাপক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তুলার আহবান জানান।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, বাজারে মুনাফা শিকারিদের অপতৎপরতা চলছে নানা কৌশলে। তার পরিণামে দুর্ভোগ নেমে আসছে স্বল্প আয়ের মানুষদের জীবনে। করোনাকালে আয়ের পথ রুদ্ধ হয়ে এমনিতেই সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা করুণ হয়ে উঠেছে, তার সাথে বাজারে মুনাফা শিকারিদের অপতৎপরতা অব্যাহত থাকলে সামনের পরিস্থিতি আরো দুর্বিষহ হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, এস.এম সাইফুল আলম, এস.কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস.এম আবুল ফয়েজ, আর.ইউ চৌধুরী শাহীন, আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা শিহাব উদ্দীন মুবিন, ইয়াকুব চৌধুরী, মশিউল আলম স্বপন, গাজী আইয়ুব আলী, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, এম.আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মো. শাহাবুদ্দীন, জাহিদ হাসান, মাইনুদ্দিন চৌধুরী মাইনু, হাবিবুর রহমান, বিএনপি নেতা একেএম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, মো. সেলিম, ইদ্রিস আলী, মো. শাহজাহান, আজাদ বাঙালী, খোরশেদ আলম কুতুবী, আরিফ মেহেদী, ইউসুফ সিকদার, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, নবাব খান, এস.এম মফিজ উল্লাহ, মো. সেকান্দর, ফয়েজুল ইসলাম, মো. বেলাল, হাজী মো. ইলিয়াছ, আলাউদ্দিন আলী নূর, জমির আহমদ, মো. ইলিয়াছ, রফিক চৌধুরী, মো. ইলিয়াছ চৌধুরী, সাইফুল আলম, রাসেল পারভেজ সুজন, এস.এম ফরিদুল আলম, মোশারফ জামাল, আবুল বশর, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চৌধুরী, হাসান লিটন, সাদেকুর রহমান রিপন, এস.এম আবুল কালাম আবু, এম ইলিয়াছ আলী, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, হায়দার আলী, হাসান ওসমান চৌধুরী, মো. শফি উল্লাহ, আশরাফ খান, হাজী আবু ফয়েজ, ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম, জসিম মিয়া, এস.এম আজাদ, আনোয়ার হোসেন আরজু, মনজুর মিয়া, মো. হাসান, মনজুর কাদের, হাজ্বী মো. জাহেদ, নগর মৎস্যজীবি দলের আহবায়ক হাজ্বী নুরুল হক, তাতীদলের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, যুবদলের সহসভাপতি শাহাবুদ্দীন হাসান বাবু, যুগ্ম সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মুর্তজা খান, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, মহিলাদলের সাংগঠনিক সম্পাদক গুলজার বেগম প্রমুখ।