
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শিক্ষিকা রুমি বড়ুয়া (৩৬) হত্যা মামলার রায়ে আদালত স্বামী রিন্টু বড়ুয়াকে (৩৪) কে ফাঁসির রায় দিয়েছেন। একই সাথে এছাড়া ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দন্ডিত রিন্টু বড়ুয়া রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী পাড়ার ডাক্তার কমল কান্তি বড়ুয়ার ছেলে।
আজ সোমবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত ৫ম জেলা ও দায়রা জজ অশোক কুমার দত্ত এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত ৫ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট রতন চক্রবর্তী রায়ের নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন এ হত্যা মামলায় আদালতে ২০ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আমরা সাক্ষ্যপ্রমাণে রিন্টু বড়ুয়া যে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে তা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ কারণে আজ আদালত মামলার একমাত্র আসামি রিন্টুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রিন্টু বড়ুয়াকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়েছিল।
আরও খবর: রাঙ্গুনিয়ায় সেনা সদস্যের স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী গ্রেফতার
নিহত রুমী বড়ুয়া বান্দরবানের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। আর তার স্বামী রিন্টু বান্দরবানে সেনা সদস্য ছিলেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, রুমি বড়ুয়া বান্দরবান সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক দীপ্তি কুমার বড়ুয়ার কন্যা এবং বেতাগী ইউনিয়নের বড়ুয়া পাড়া গ্রামের রিন্টু বড়ুয়ার স্ত্রী। ২০০৮ সালে তাদের বিয়ে হলেও কোনো সন্তান ছিল না। আর রিন্টু বড়ুয়া
বন্দরবানে লামা সেনা ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।
২০১৭ সালের ১৩ আগষ্ট রাতে রাঙ্গুনিয়ার বেতাগী ইউনিয়নে বড়ুয়া পাড়া গ্রামে রিন্টু বড়ুয়া রুমি বড়ুয়াকে জবাই করে হত্যা করে।
স্থানীয় লোকজন জানান, রিন্টু বড়ুয়া স্ত্রী রুমি বড়ুয়াকে নিয়ে ঘটনার আগের দিন বিকালে বান্দরবান থেকে বাড়িতে আসেন। দীর্ঘ দিন ধরে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছে। স্ত্রী রুমি বড়ুয়া স্বামী থেকে ২ বছরের বড়। তাছাড়া দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে তাদের কোন সন্তান হচ্ছিল না। এনিয়ে মুলত রিন্টু রুমির মধ্যে অশান্তি ছিল।
হত্যাকাণ্ডের পরদিন রুমি বড়ুয়ার ভাই মনোজ কান্তি বড়ুয়া বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১৭ আগস্ট ম্যাজিস্ট্রেট হেলার উদ্দীনের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় রিন্টু। পরে ২০ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ সোমবার সকাল ১১টায় আদালত রিন্টু বড়ুয়ার ফাঁসির রায় দেন।