
বাংলাদেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিষয়ক এক গোল টেবিল আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, কাজী রকিবুদ্দিন মার্কা নির্বাচন কমিশন আর দেখতে চাইনা। নির্বাচন কমিশনকে আস্থার জায়াগায় পরিণত করতে প্রয়োজনে আলাদা আইন প্রনয়ন করা প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আলাদা কোন আইন না থাকায় অতীতের নির্বাচন কমিশন গুলো নানাভাবে বিতর্কিত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষন সেন্টারের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ গোল টেবিল আলোচনায় বক্তারা আরো বলেন, নৈতিকভাবে শক্তিশালী এবং বিশ্বাসের জায়গা ফিরে আসতে পারে এমন ইসি গঠনে প্রয়োজনে সার্চ কমিটি গঠন করতে হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. সোনিয়া হকের সভাপতিত্বে ইস্ট ডেলটা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খানের সঞ্চালনায় গোল টেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইডব্লিউজি এশিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আবদুল আলীম।
আলোচনা বক্তারা বলেন- বাংলাদেশে বর্তমানে যে আইন রয়েছে তা দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালি করা সম্ভব না। এ জন্য এ আইনটি সংশোধন করা দরকার। নির্বাচন কমিশন গঠনে রাস্ট্রপতিকে নিবন্ধিত দলগুলোর সাথে আলোচনা করে সে মতে কাজ করা দরকার।
অতীতের সরকার গুলো স্বাধীন নির্বাচন কমিশন নিয়ে কোন আইন না করার ফলে দেশের ইতিহাস থেকে নির্বাচন শব্দটা হারিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন আলোচকরা।
গোল টেবিল আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মহিউদ্দিন, অধ্যাপক হোসাইন কবির, অধ্যাপক আমীর মুহাম্মদ নসরুল্লাহ, সাংবাদিক বালাগাত উল্লাহ, সাবেক এমপি চেমন আরা বেগম, নারী নেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু।