ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চমেকে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের ৩০ নেতাকর্মী বহিস্কার

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে (চমেক) ৩০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

আজ মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সাথে সংর্ঘষের ঘটনার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ আগামী ২৭ নভেম্বর খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে আপাততে মেয়েদের ছাত্রাবাস চালু করলেও ছেলেদের ছাত্রাবাস বন্ধ থাকবে।

চমেক অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার বিকেলে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, চমেকের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করাসহ সংঘর্ষে জড়ানোর দায়ে ৩০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে আট জনকে দুই বছর, দুজনকে দেড় বছর ও ২০ জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কলেজে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে এসব শিক্ষার্থীরা কলেজে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের আলোকে তাদের এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একাডেমিক কাউন্সিল সভায় আমরা আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ সময় ছাত্রীদের হল খুলে দেওয়া হবে। তবে ছাত্রাবাসগুলো বন্ধ থাকবে। ছেলেদের হলের সিট বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে সিট বরাদ্দ দিয়ে হল খোলা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর রাতে ও ৩০ অক্টোবর সকালে চমেকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষ হয়। ওই হামলায় নাছির গ্রুপের ৬১ ব্যাচের মাহফুজুল হক (২৩) ও ৬২ ব্যাচের নাইমুল ইসলাম (২০) আহত হন।

রাতের ঘটনার জেরে ৩০ অক্টোবর সকাল ৯টায় শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারী মাহাদি জে আকিবকে (২০) একা পেয়ে বেধড়ক পেটায় আ জ ম নাছিরের অনুসারীরা। এরপর দুই পক্ষ পুনরায় সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওই দিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি সন্ধ্যার মধ্যে হোস্টেল ছেড়ে যেতে ছাত্রদের নির্দেশ দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী সেদিন সন্ধ্যায় আবাসিক হল ছাড়েন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে, হামলায় আকিব মাথায় মারাত্মক জখম পান। এরপর দীর্ঘ সময় নিয়ে তার মাথার অপারেশন করেন চিকিৎসকরা। মাথার হাড় খুলে পেটে রেখে চিকিৎসা চালানো হয়। এরপর মাথায় এঁকে দেন বিপদ চিহ্ন। চিকিৎসকরা মাথার ব্যান্ডেজে লিখে দেন, ‘হাড় নেই, হাত দেবেন না’।আহত আকিব ১৯ দিন ধরে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন সম্প্রতি সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি ২১ দিন পর২২ নভেম্বর সোমবার প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে সংঘর্ষ সংঘটিত হওয়ার দিনের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরে এর জন্য দুই পক্ষ দায়ী বলে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচলাইশ ও চকবাজার থানায় পাল্টাপাল্টি ৩টি মামলা হয়েছে। পাঁচলাইশ থানার মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print