
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে কতিপয় হিন্দু যুবকদের হামলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের কাছে এসে দুঃখ প্রকাশ করেছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য। ঘটনার দিন তিনি সিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মঙ্গলবার রাতে প্রেসক্লাবে আসেন এবং সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন।
এ সময় তিনি প্রেস ক্লাবে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে আইনগত সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত যারা এখনও পালিয়ে আছে তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেফতারের আশ্বাস দেন।
বুধবার রাতে প্রেসক্লাব মিডিয়া সেলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, বিএফইউজে’র সহ সভাপতি শহীদ উল আলম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার ও সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, সিইউজের সাবেক সভাপতি অঞ্জন সেন ও মোস্তাক আহমেদ, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র সহ সভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, সিইউজের সহ সভাপতি নিরুপম দাশগুপ্ত, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি কাজী আবুল মনসুর ও সালাহউদ্দিন রেজা এবং যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মহসিন কাজী, সিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শুভ, সাংবাদিক মিন্টু চৌধুরী ও রমেন দাশগুপ্ত উপস্থিত ছিলেন।
হামলার ঘটনায় চৌধুরী ফরিদ দ্রুত বিচার আইনে মামলার এজাহার জমা দিলেও পুলিশ বাদিকে না জানিয়ে সেই আইনের পরিবর্তে দুর্বল ধারা সংযোজন করে। সাংবাদিকরা অভিযোগ করে আসছিলেন, দেবদাস ভট্টাচার্যের নির্দেশে আসামিদের সুকৌশলে ছাড় পাইয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে কোতয়ালি থানার ওসি বাদির অজান্তে মামলার ধারা পরিবর্তন করেন। এরপর সাংবাদিকরা দেবদাস ভট্টাচার্যের অপসারণের দাবিতে সমাবেশ করেন।
পেশাজীবী সমাবেশে সর্বস্তরের পেশাজীবীদের উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের আন্দোলনে সংহতি জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।