
বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনা করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার বাদ জুমা নগরীর নাসিমন ভবনস্থ বিএনপি দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে মাঠে এ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন নাসিমন ভবন মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক।
দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু, শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ মৃত্যুবরণকারী নেতাকর্মীদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অসুস্থ নেতাকর্মীদের রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
এসময় বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার পথে সরকারকে অহেতুক কোনও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার আহবান জানান চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, সরকারের প্রতিবন্ধকতার জন্য খালেদা জিয়ার জীবনের ওপর যদি কোনও হুমকি আসে, তার জীবন যদি বিপন্ন হয়, তবে রেড অ্যালার্ট জারি করেও সরকার তাদের পতন ঠেকাতে পারবে না। জনগণ জেগে উঠেছে। সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তি খালেদা জিয়ার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। সরকারকে সতর্ক করতে চাই, বিপদ এড়ানোর জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে এখনই মুক্তি দেওয়া হোক। আজই তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হোক। সরকারের এমপি মন্ত্রীরা বলছেন, মানবিক কারণে বিদেশে যেতে দেওয়া উচিত। কিন্তু শেখ হাসিনা তাঁর প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে রাজনীতি নয়, জীবন থেকে নিশ্চিহ্ন করতে এই চক্রান্ত করছেন। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন,খালেদা জিয়ার বয়স ৭৫ বছরের বেশি। তাঁকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দিতে এক এগারোর সময়ে যে চক্রান্ত শুরু হয়েছিল, সেই চক্রান্তের অংশ হিসেবে একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগারে দুই বছরের বেশি সময় আটক রাখা হয়েছিল। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল, সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। সেই সময় থেকে সরকার খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। তাদের পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়। গণতন্ত্রকে তারা পুরোপুরি নির্বাসনে পাঠিয়েছে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, সরকার আইনের দোহায় দিয়ে দেশনেত্রীকে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না। কিন্তু আইনের ধারাতে স্পষ্টভাবে বলা আছে, সরকার যখনই যাকে চায়, তাকেই বিদেশে প্রেরণ করতে পারবে। চিকিৎসার অভাবে যদি খালেদা জিয়ার কোন অঘটন ঘটে তাহলে এই সরকারকে সম্পূর্ণ দায়ভার নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ এই অবৈধ সরকারকে কোনো ক্ষমা করবে না। খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে বিদেশে সুচিকিৎসা সুযোগ দিতে হবে।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, হারুন জামান, মাহবুব আলম, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহেদ, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দিন, মোশারফ হোসেন ডেপটী, হাজী বাবুল হক, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, সরফরাজ কাদের রাসেল, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গির আলম, হাবিবুর রহমান, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, জমির আহমদ, ফারুক আহমদ, রফিক চৌধুরী, মো. ইলিয়াছ, হাজী মো. মহসিন, সাইফুল আলম, খাজা আলাউদ্দিন, এড. আবুল কাশেম মজুমদার, এস এম ফরিদুল আলম, মো. আসলাম, শরিফুল ইসলাম, মোশারফ জামাল, আশরাফ উদ্দিন, শায়েস্তা উল্লাহ চৌধুরী, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা শহীদুল্লাহ চিশতী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল হান্নান জিলানী, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক হাজী নুরুল হক, তাতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, যুবদলের সি. যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সি. যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, মাসুদুল কবির রানা, ফিরোজ খান, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, হাসান ওসমান চৌধুরী, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, মো. শফি উল্লাহ, আশরাফ খান, এস এম আজাদ, হাজী আবু ফয়েজ, এম এ হালিম বাবলু, হাজী এমরান উদ্দীন, ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম, হায়দার আলী, আনোয়ার হোসেন আরজু, মনজুর মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, জসিম মিয়া, সাদেকুর রহমান রিপন, মো. হাসান, হাজী মো. জাহেদ, মনজুর কাদের, মো. হাসান প্রমুখ।