
জিয়া চৌধুরী, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
তৃতীয় ধাপে হাটহাজারীর ইউপি নির্বাচনে ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৬ জন এবং স্বতন্ত্র ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ৫ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের ২জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
রবিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৩টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ফরহাদাবাদ ইউপিতে নির্বাচন হয়নি। নির্বাচনে চিকনদন্ডী ইউনিয়নে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এ ভোটগ্রহণ হয়েছে। বাকি ইউনিয়নগুলোতে সাধারণ ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হয়।
নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- মির্জাপুর ইউনিয়নে আকতার হোসেন খান সুমন, গড়দুয়ারা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ সরওয়ার মোরশেদ তালুকদার, উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নে শাহেদুল আলম শাহেদ, ফতেপুর ইউনিয়নে মোঃ জায়নুল আবেদীন, চিকনদন্ডী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান বাচ্চু, দক্ষিন মাদার্শা ইউনিয়নে মোঃ সরওয়ার চৌধুরী।
কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় মেখল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ সালাউদ্দীন চৌধুরী ও গুমানমর্দন ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ মুজিবুর রহমান আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- ধলই ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান আবুল মনসুর (আনারস), নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নে মোঃ হারুনুর রশীদ (আনারস), ছিপাতলী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল আহসান লাভু (আনারস), শিকারপুর ইউনিয়নে এম এ খালেক (আনারস), বুড়িশ্চর ইউনিয়নে মোঃ জাহেদ হোসাইন (আনারস)।
এদিকে কয়েকটি ইউনিয়নে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে কেন্দ্র দখলের চেষ্টায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ফতেপুর ইউনিয়নে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বাড়িঘরে হামলা ও মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেখল ইউনিয়নের একটি ভোটকেন্দ্র দখল করতে গিয়ে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক প্রার্থীর তিন সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। ফতেপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকের হোসেন ভিডিও বার্তায় তিনটি কেন্দ্র দখলের অভিযোগ করে সেসব কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন। ধলই ইউনিয়নের শান্তিরহাট সঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের নিকট হতে সিলমারা ব্যালটভর্তি ব্যালট বাক্স উদ্ধার করার খবর পাওয়া গিয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আনোয়ার খালেদ বলেন, প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকায় কোন বড় রকমের সংঘাতের ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।