
জিয়া চৌধুরী, প্রতিনিধি, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম):
সদ্য প্রয়াত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদীর মৃত্যুর পর কে হচ্ছে দলটির মহাসচিব তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর আলোচনা চলছে।
হেফাজতের দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদীর মৃত্যুতে মহাসচিব পদ শূণ্য হওয়ায় শুরা সদস্যদের পরামর্শ মতে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মনোনীত করা হবে।
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে হেফাজতের নায়েবে আমীর ও হাটহাজারী মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মাওলানা ইয়াহিয়া, হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ও সহকারী মহাসচিব মাওলানা আব্দুল আওয়াল (নারায়নগঞ্জ) নাম আলোচনায় আসতে পারে।
মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদীর দাফনের পর উপস্থিত আলেমরা এই বিষয়ে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদ্রিস জানান, মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদীর নামাজে জানাজা আজ সোমবার বাদ এশা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে এবং হাটহাজারী দারুল উলুম মুইনুল ইসলাম মাদরাসায় (হাটহাজারী বড় মাদরাসা) তাকে দাফন করা হবে।
তিনি জানান, সোমবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে উনার নুরুল ইসলামের বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।’
এর আগে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সন্ধ্যার পর হেফাজতের ওলামা মাশায়েখের সম্মেলন শেষে রাতে খিলগাঁওয়ের বাসায় ফেরার পথেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে নুরুল ইসলাম জিহাদীকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হয়।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর হেফাজত ইসলামের মহাসচিব নুর হোসাইন কাসেমী মারা যাওয়ার পর ২৩ ডিসেম্বর নুরুল ইসলাম জিহাদীকে মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন হেফাজতের আমির ছিলেন জুনায়েদ বাবুনগরী। গত ১৯ অগাস্ট জুনায়েদ বাবুনগরী মারা যাওয়ার পর এখন তার মামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী আমিরের দায়িত্ব পালন করছেন।