
চট্টগ্রামে রেল ক্রসিংয়ে বাস-সিএনজি-ট্রেনের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ।
চট্টগ্রাম রেলওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল গফুরকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানায় রেল পুলিশ। এছাড়া রেলওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) ও চট্টগ্রামের রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তাকে (ওসি) তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রেলওয়ে পুলিশ চট্টগ্রামের এসপি হাছান চৌধুরী বলেন, ঘটনার কারণ ও দোষীদের সনাক্ত করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে সব উঠে আসবে।’
আরও খবর: ঝাউতলায় ট্রেন-বাস ও সিএনজির ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশসহ নিহত ২, আহত ১০
এর আগে আজ শনিবা সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর খুলশী থানার ঝাউতলা রেল ক্রসিংয়ে বাস-সিএনজি অটোরিকশা ও ডেমু ট্রেনের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই সিএমপির এক ট্রাফিক কনস্টেবল মনিরুলৈ ইসলামসহ দুইজন নিহত হন। আহত অপরজেনর নাম বাহা উদ্দীন (৩০)। তিনি সিএনজির যাত্রী ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, নাজিরহাট থেকে একটি ডেমু ট্রেন চট্টগ্রাম রেল স্টেশন আসছিল। তার আগে ঘটনাস্থল ঝাউতলা সিগন্যালে ৭ নম্বর রোডের একটি বাস সেখানে থাকা সিএনজি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়৷ সেই ধাক্কায় আরেকটি সিএনজির সাথে লাগে৷ দুটি সিএনজি রেল লাইনে উপর পড়ে৷ এতে ডেমু ট্রেনটির ধাক্কায় দুমড়ে মুছড়ে যায় সিএনজি দুটি। সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবল মনিরুল ইসলামসহ দুজন নিহত হয় ঘটনাস্থলেই৷ এছাড়া আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।
শাহেদা নামে প্রত্যক্ষদর্শী পাশের বস্তির নারী জানান, আলমগীর নামে রেলক্রসিং দায়িত্বে থাকা গেইটম্যান ট্রেন আসার সময় সিগনাল না ফেলে রাস্তার ওপারে দোকানে বসেছিল। যার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সে প্রায় সময় নিজে সিগনাল না ফেলে বাচ্চা ছেলেদের দিয়ে সিগন্যাল ফেলে।