
চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট থানার মাঝিরঘাট এলাকায় হেলেপড়া দুটি ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ ভাঙার কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙ্গার কাজ শুরু করে সিডিএ।

এদিকে ভবন ধসে যাওয়ার ঘটনার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে ক্ষতিপূরণের দাবীকে মাঝিরঘাট স্ট্যান্ডরোড এলাকায় দিনভর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। তারা বলেন, সিডিএ’র ড্রেন নির্মাণের কাজের কারণে ভবনটি হেলে পড়েছে। মাটি খননের কারণে ভবনের গোড়া থেকে মাটি সরে যায়।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কর্মকর্তারা বলেছেন, খালের জায়গা দখল করে নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় খাল সম্প্রসারণ করার সময় এই ভবন দুটি হেলে পড়েছে। বর্তমানে ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেছে সিডিএ।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহীনুল ইসলাম খান বলেন, সিডিএর নীতিমালা অনুযায়ী খালের ১৫ ফুট দূরে স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে। এই ভবনের অনুমোদনের সময়ও তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছিল। কিন্তু ভবন মালিক খালের পাশ ঘেঁষেই ভবন নির্মাণ করেন। এরপর খালের পাশ থেকে স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ ও সময় দেয়া হয়। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের খাল সংস্কারের কারণে ভবন দুটি হেলে পড়েছে।
ভবনের বাসিন্দাদের বিক্ষোভ ও ক্ষতিপূরণের দাবি প্রসঙ্গে সিডিএ কর্মকর্তারা বলেন, খালের মধ্যে তাদের বৈধ জায়গা বা বৈধ কাগজপত্র থাকলে সিডিএ তাদের ক্ষতিপূরণ দেবে। কিন্তু তারা কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি।