
কক্সবাজার-বান্দরবান সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ির গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ৪ রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাইরুল ইসলাম সরকার জানান, আজ শুক্রবার ভোর রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বালুখালী-নাইক্ষ্যংছড়ি রাস্তার মাথা সংলগ্ন রাবার বাগান এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
তিনি জানান, এ সময় দুটি বিদেশি পিস্তল ও ৬টি দেশীয় তৈরি অস্ত্রসহ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

আটকরা হল, কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-ব্লকের বাসিন্দা মৃত আশুক জামানের ছেলে মোহাম্মদ নুর (৩২) ও একই ক্যাম্পের ইমাম হোসেনের ছেলে মো. নাজিমুল্লাহ (৩৪) এবং থাইংখালী ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ-২ ব্লকের বাসিন্দা ছৈয়দুল ইসলামের ছেলে মো. আমান উল্লাহ (২৩) ও কুতুপালং ১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-১১ ব্লকের বাসিন্দা আব্দুর সবুরের ছেলে মো. খাইরুল আমিন (১৯)।
র্যাব -১৫ এর অধিনায়কলে. কর্নেল খাইরুল বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রাবার বাগান এলাকার গহীণ অরণ্যে কতিপয় সশস্ত্র লোকজন অপরাধ সংঘটনের উদ্দ্যেশে অবস্থান করছে খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে র্যাব সদস্যরা রাবার বাগানটির সন্দেহজনক এলাকাটি ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে শুক্রবার ভোর রাতে কয়েকজন সন্দেহজনক লোককে দেখতে পেয়ে থামার জন্য নির্দেশ দেন। এতে লোকগুলো দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা ৪ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
এসময় দুইজনের দেহ তল্লাশী করে ২ টি দেশিয় তৈরী বন্দুক এবং অপর দুইজনের কাধে কাঠের বোঝা পাওয়া যায়। পরে কাঠেট বোঝাগুলো খুলে পাওয়া যায় ১ টি বিদেশি পিস্তল, ১ টি স্টেনগান, দেশিয় তৈরী ৪ টি বন্দুক, ৫ টি ম্যাগজিন ও ১২ টি গুলি।
আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি দিয়েছে, উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিল। তারা ক্যাম্পে নানা অপরাধ সংঘটনের সাথে জড়িত বলেন র্যাবের এ কর্মকর্তা।