
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অনুমোদন ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণভাবে কাভার্ডভ্যানে সিলিন্ডার ভরে গ্যাস বিক্রি করার অপরাধে সীতাকুণ্ড থেকে দুজনকে আটক করেছে র্যাব। কাভার্ডভ্যানে থাকা ১১৭টি সিলিন্ডার জব্দ করা হয়েছে। আটকরা গ্যাস বিক্রির করার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাদের কাছে বিস্ফোরক অধিদফতরের কোনো অনুমোদন ছিল না।
গতকাল শুক্রবার উপজেলার ছোট কুমিরা এলাকার মেসার্স ইলিয়াছ রি-ফুলেলিং স্টেশন থেকে কাভার্ডভ্যানের ভেতরে থাকা সিলিন্ডারে গ্যাস নেওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়।
আজ শনিবার র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক ( মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন

আটকরা হলেন, ট্রাকচালক মো. মানিক ( ৪৫ ), ইলিয়াছ রি- ফুয়েলিং স্টেশনের সহকারী ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার মো. আব্দুল্লাহ হোসাইন জাহিদ (২৬)।
র্যাব-৭ এর সদর কোম্পানি কমান্ডার এসপি তাহিয়াত আহমদ চৌধুরী বলেন, কাভার্ডভ্যানটির বাইরে মাতৃভূমি সংস্থা গ্লোরি অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস লেখা। কিন্তু ভেতরে ১১৭টি সিলিন্ডার রাখা হয়েছে। সিলিন্ডারগুলো একটির সঙ্গে আরেকটি সংযুক্ত। চক্রটি কাভার্ডভ্যানটি নিয়ে সিএনজি রিফুয়েলিং সেন্টারে গিয়ে একটি নজেল সিলিন্ডারে লাগিয়ে দিত। এতে কাভার্ডভ্যানের ভেতরে থাকা সিলিন্ডারগুলো পূর্ণ হয়ে যেত।
সিলিন্ডারগুলো পূর্ণ হওয়ার পর কাভার্ডভ্যানটি ভ্রাম্যমাণ সিএনজি স্টেশনের মতো ব্যবহার হতো। যেসব জায়গা থেকে সিএনজি স্টেশন অনেক দূরে, সেসব জায়গায় কাভার্ডভ্যান থেকে কোনো প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই সিএনজিচালিত অটোরিকশা, গাড়ি ও প্রয়োজনীয় স্থানে তারা গ্যাস সরবরাহ করত বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে নিয়মবহির্ভূত ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে কাভার্ডভ্যানে সিলিন্ডারভর্তি করে পথে পথে গ্যাস বিক্রি করে আসছিলেন। তারা মূলত বেশি লাভের আশায় ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে গ্যাস বিক্রি করতেন। তারা প্রতি দুইদিন পর পর রিফুয়েলিং স্টেশন থেকে সিলিন্ডারে লোড করে নিয়ে অবৈধভাবে অন্য জায়গায় সিএনজি বিক্রি করতেন।
র্যাব বলছে, সিলিন্ডার খোলা ও সংযোজনের সময় সামান্য অসাবধানতাতেই বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া কাভার্ডভ্যানটিতে কোনো অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নেই।