ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

বাঁশখালীর সাবেক পৌর মেয়র ও মুক্তিযোদ্ধা সেলিমুল হকের ওপর এমপি গ্রুপের হামলা

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

জেলার বাঁশখালী পৌরসভার সদ্য বিদায়ী মেয়র মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীর ওপর প্রকাশ্যে হামলা চালিয়েছে সরকার দলীয় স্থানীয় এমপির সমর্থকরা।

পৌরসভা ভোট শেষ দুইদিনের মাথায় ‘এমপির লোক’-পরিচয়ে একদল দৃর্বৃত্ত ঘরে ঢুকে টেনেহিঁচড়ে বেদম প্রহার করে সাবেক এই মেয়রকে। এসময় দুর্বৃত্তরা মেয়র সেলিমের শার্টও ছিঁড়ে ফেলে এবং তাকে জোর করে টেনে হিঁছড়ে তুলে নিয়ে যেতে চায়। তারা বলতে থাকে ‘তুই এমপি’র সঙ্গে বেয়াদবি করছিস কেন’?

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পৌরসভার মিয়ারবাজার এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর আজ বুধবার মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরী নিজেই বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় মামলাটি করেন।

.

মামলায় আসামি করা হয়েছে মো. সিরাজ (৩৭), মো. ইলিয়াস (৩৫), মো. মিনারুল ইসলাম (৩৪) ও মো. দুদু মিয়া (২৮)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও তিন থেকে চারজনকে।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. কামাল উদ্দিন জানান, পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা সেলিমুল হক চৌধুরীকে অনাধিকার প্রবেশ করে ঘরে ডুকে মারধর, টানাহেঁচড়া ও সম্মানহানি করার অপরাধে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করছেন।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সেলিমুল হক চৌধুরীকে উদ্ধার করে তার বাসায় পৌঁছে দেয়। একসময় ঘনিষ্ঠতা থাকলেও গত কয়েক বছর ধরে বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন বাঁশখালী পৌরসভার বিদায়ী মেয়র মুক্তিযোদ্ধা শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী।

জানাগেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিদায়ী মেয়র সেলিমুল হক বাঁশখালী উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হীরা মনির বাসায় যান। সেখানে ওই সময় পৌরসভা যুবলীগের আহ্বায়ক হামিদ উল্লাহও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হঠাৎ কয়েকজন যুবক ওই বাসায় ঢুকে প্রথমে বিদায়ী মেয়র সেলিমুল হকের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন।এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা মারধর করতে শুরু করেন সেলিমকে।

মারধরের সময় যুবকেরা বলছিলেন, ‘তুই এমপি’র সঙ্গে বেয়াদবি করছিস কেন?’ এর একপর্যায়ে তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিমের শার্টও ছিঁড়ে ফেলেন।

উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হীরা মনি বলেন, ‘পৌর নির্বাচনে আমার ভাই মানিক বিজয়ী হতে না পারায় আমি ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে থাকলে আমার মা, বোন ও ভাবী আমাকে দেখতে আসেন। কিছুক্ষণ পর পৌরসভা যুবলীগের আহ্বায়ক হামিদ উল্লাহ আমার বাসায় আসেন। এর একটু পর বর্তমান মেয়র মুক্তিযোদ্ধা শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী আমার বাসায় এসে হাঁপাতে হাঁপাতে তাকে বাঁচাতে বলেন। তাকে নাকি কিছু লোক মারতে চাইছে।’ হীরা মনি বলেন, ‘আমার বাসায় এসে কিছু যুবক মেয়রকে টানাহেঁচড়া করে। আমি তাকে বাঁচাতে চেষ্টা করেছি। ঘটনার কিছুক্ষণ পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিওতে মেয়রকে টানাহেঁচড়া করে ২-৩ জন যুবককে তার পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলতে দেখা যায়।’

ঘটনাস্থলে থাকা পৌরসভা যুবলীগের আহ্বায়ক হামিদ উল্লাহ বলেন, ‘মেয়র বাসায় থাকাকালীন কিছু যুবক এসে চড়াও হয়। পরে পুলিশ এসে মেয়রকে চলে যেতে বলে। পুলিশ রাত পৌনে আটটার দিকে মিয়ারবাজার এলাকার ওই বাসা থেকে মেয়র সেলিমুল হককে উদ্ধার করে তার বাসায় পৌঁছে দেয় পুলিশ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print