ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

এক ধাপ এগিয়ে দুর্নীতিতে ১৩ তম বাংলাদেশ

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বিশ্বের দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। এ তালিকায় ২০২০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪তম। এ বছর বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়ে ১৩তম অবস্থানে এসেছে।

কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায়ও এক ধাপ অবনমন ঘটে ১৪৬ থেকে ১৪৭তম অবস্থানে এসেছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার বিশ্ব দুর্নীতি পর্বেক্ষণ সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশিত ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক ২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপলক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতির ধারণা সূচকে এ বছর বাংলাদেশ ২৬ স্কোর পেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ১৪৭তম অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে একই অবস্থানে রয়েছে মাদাগাস্কার ও মোজাম্বিক।

সূচকে ৪০ স্কোর পেয়ে ৮৫ এবং ২৮ স্কোর পেয়ে ১৪০তম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান।

ড. ইফতেখার আরো বলেন, গত বছরও বাংলাদেশ একই স্কোর পেয়েছিল। সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান হতাশাজনক। এর আগে বাংলাদেশ ২০২০, ২০১৯ ও ২০১৮ সালে একই স্কোর পেয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তানের পর বাংলাদেশের অবস্থান।

বৈশ্বিকভাবে সর্বোচ্চ ৮৮ স্কোর পেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যৌথভাবে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। সর্বনিম্ন ১১ স্কোর পেয়ে তালিকার শেষে রয়েছে দক্ষিণ সুদান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল সিপিআই তৈরিতে দুর্নীতি, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র এই তিনটি বিষয়কে মূলমন্ত্র হিসেবে নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশের স্কোর খারাপ হওয়ার পেছনে বেশ কয়েটি কারণ উদঘাটন করেছে টিআই।

সংস্থাটির মতে, বড় মাপের দুর্নীতি অনুসন্ধানে সরকারের ব্যর্থতা এখন বাস্তবতা। অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে – রাজনৈতিক অবক্ষয় ও ক্ষমতার অপব্যবহার; দুর্নীতি ও অপরাধের সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা; গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিস্ক্রিয়তা ও দায় এড়ানোর সংস্কৃতি; দেশ পরিচালনা নীতিতে সাধারণ জনগণের স্বার্থের চেয়ে উচ্চবিত্তদের প্রাধান্য দেয়া এবং ব্যক্তিগত লাভের জন্য রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার; কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেও স্বাস্থ্যখাতে নানা কেলেঙ্কারি; বড় ধরনের দুর্নীতিকে বিচারের আওতায় না আনা এবং রাঘব বোয়ালদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার ক্ষেত্রে দুদকের অকার্যকর ভূমিকা; আর্থিক ও ব্যাংকিং সেক্টরে ঋণখেলাপীদের বাঁচাতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা এবং চুক্তির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ; গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের কার্যক্রম সংকুচিত করা; মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা এবং তথ্য, সংবাদ প্রকাশ ও বিরোধী মতের প্রতি সহশীলতার অভাব।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পেছনের কারণ হিসেবে আইনের শাসনের ঘাটতি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যহারকেও উল্লেখ করেছে বৈশ্বিক দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশরাল (টিআই)

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print