
কক্সবাজারের টেকনাফে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যা মামলার রায়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলীর ফাঁসি এবং টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব, বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এপিবিএনের তিন সদস্যসহ ৭ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি) কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন। এর আগে দুপুর সোয়া ২টা থেকে বিচারক রায় পড়া শুরু করেন।
রায় ঘোষণাকালে আলোচিত এই হত্যা মামলার প্রধার আসামী লিয়াকত ও ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত সৃষ্টির ৩৮ বছরের ইতিহাসে এ প্রথম এত দ্রুত কোনো হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হচ্ছে। এ মামলায় ৮৩ সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এর আগে হত্যা কিংবা ফৌজদারি কোনো মামলায় এত বিপুল সংখ্যক সাক্ষী নেওয়ার নজির নেই। তেমনটি নজির নেই এত স্বল্প সময়ে চার্জগঠন, শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের। মাত্র ৩৩ কার্যদিবসে আমরা এ মামলার সব বিচারিক কার্যক্রম শেষ করতে সক্ষম হয়েছি। তেমনি সক্ষম হয়েছি সিনহা হত্যার বিষয়টি প্রমাণে। আমাদের আশা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবেন ওসি প্রদীপ ও অভিযুক্তরা। স্বল্প সময়ে সিনহা হত্যার রায় দেশে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন সরকারি এ আইনজীবী।
এদিকে আলোচিত এই রায়কে কেন্দ্র করে সকাল থেকে কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আদালতের প্রবেশ পথ, জেলা প্রশাসক কার্যালয় এলাকা, পৌরসভা গেট, ও কাঁচাবাজার এলাকাসহ সাত স্তরে পুলিশের চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।