ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

মিনুর অনাথ সন্তানদের পাশে কেএসআরএম, পাঁচ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

অন্যের হলে জেল খাটা সেই মিনুর হতভাগ্য সন্তানদের ভরণপোষণে অর্থ সহায়তা দিয়েছে দেশের অন্যতম ইস্পাত নির্মাণ শিল্প প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের কাছে পাঁচ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন কেএসআরএমের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।

উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সুমনী আক্তার।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, কেএসআরএমের এই মহত্ত্ব অনুকরণীয়। মিনুর সন্তানদের তেমন কোনো অভিভাবক নেই। মামা থাকলেও ভরসা রাখা যাচ্ছে না। তাই বিষয়টা নিয়ে আমাদের এগুতে হচ্ছে সতর্কভাবে। আমরা চাই তারা যেন বঞ্চিত না হয় কোনো প্রাপ্যতা থেকে। এই টাকা তাদের নামে ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখা হবে।

এডিএম সুমনী আক্তার বলেন এ সময় বলেন, দুই শিশুকে এসওএস শিশু পল্লীতে ভর্তি করানোর পক্রিয়া চলমান রয়েছে।সেখানে অনাথ শিশুদের পড়ালেখা ও ভরণপোষণে টাকার প্রয়োজন হয় না। তাই কেএসআরএম থেকে দেওয়া অর্থ ওই শিশুদের নামে ব্যাংকে রাখা হবে। তা ভবিষ্যতে তাদের কাজে আসবে।

কেএসআরএমের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঠক ডট নিউজকে বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে হতভাগ্য মিনু ও তার সন্তানদের দুর্দশা ও ভাগ্য বিড়ম্বনার কথা জেনে প্রতিষ্ঠানের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়ার। সেই হিসেবে জেলা প্রশাসকের কাছে দুই সন্তানের জন্য অনুদানের চেক হস্তাস্তর করা হয়েছে।

জানা যায়, স্বামী পরিত্যক্ত হতভাগ্য মিনু আক্তার তার তিন সন্তানের ভরণপোষণের আশ্বাসে অন্যের হয়ে কারাগারে যান। কথা ছিল অল্পদিনের মধ্যে মুক্তি পাবেন। কিন্তু প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবীসহ কিছু মহানুভব মানুষের প্রচেষ্টায় দীর্ঘ আইনী প্রক্রিয়া শেষে মিনু গত বছরের ১৬ জুন কারাগার থেকে মুক্তি পান।

এরমধ্যে মারা যায় মিনুর কন্যসন্তান জান্নাত। কারামুক্তির ১৩ দিনের মাথায় রহস্যজনক সড়ক দুর্ঘটনায় জীবন থেকে মুক্তি পান মিনু। ২৮ জুন দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী ফৌজদারহাট সংযোগ সড়কের আরেফিন নগর এলাকায় মিনুকে গাড়ি চাপা দেওয়া হয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে ২৯ জুন ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিনু।

কোনো পরিচয় না পাওয়ায় এক দিন পরে অজ্ঞাত হিসেবে তাঁর লাশ দাফন করে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম। ৩ জুলাই রাতে পুলিশ ও পরিবার নিশ্চিত হয় যে অজ্ঞাত হিসেবে দাফন করা লাশটি মিনুর। এরই মধ্যে মিনুর বড় ছেলে অর্থাভাবে চাকুরি নেয় ষোলশহর চায়ের দোকানে। মিনুর মৃত্যুর পর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয় বড় ছেলে ইয়াসিন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে টনক নড়ে প্রশাসনের। পুলিশের তৎপরতায় খোঁজ মেলে নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ শিশু কিশোর সংশোধনাগারে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print