
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পর শুরুরাত পোহালেই সকালে শুরু হবে কাঙ্খিত ভোট গ্রহণ। এই ভোটকে কেন্দ্র করে শুধু নারায়ণগঞ্জ নয় সারা দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে নারায়ণগঞ্জের দিকে। নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের কারণে সবার দৃষ্টি এখন নারায়ণগঞ্জের এ নির্বাচনের দিকে। এ নির্বাচনে কে হাসবে শেষ হাসি, আইভী না সাখাওয়াত? এমন প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় সবাই।
এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় দু’দলই এটিকে তাদের প্রেস্টিজ ইস্যু হিসাবে দেখছে। এছাড়া নানা কারণে সমালোচনার মুখে পড়া কাজী রকিবউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচন কমিশন তাদের শেষ নির্বাচন কিভাবে শেষ করে সেটি নিয়েও রয়েছে সাধারণ মানুষের আলাদা দৃষ্টি।
বৃহস্পতিবার ২২ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসাবে সেলিনা হায়াৎ আইভী, বিএনপি প্রার্থী হিসাবে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনসহ ৭ জন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া কাউন্সিলররাও লড়ছেন নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। তবে নির্বাচনের এ লড়াইয়ে স্পট লাইটটা আইভী আর সাখাওয়াতের ওপরই রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদরের পাশাপাশি সিদ্ধিরগঞ্জ এবং বন্দর উপজেলা নিয়ে এই নির্বাচনী আসনে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬২ জন এবং নারী ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৯ জন ।ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৭৪টি। ভোটকক্ষের সংখ্যা ১৩০৪টি, অস্থায়ী ভোটকক্ষ ১২৬টি ।