
চট্টগ্রামে শ্লীলতাহানির অভিযোগে নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন এক নারী। মিথ্যা মামলা করার অভিযোগে আছিয়া খাতুন (৫২) নামের এ নারীকে কারাগারে পাঠিযেছেন আদালত।
আজ বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ আদেশ দেন।
আছিয়া খাতুন, জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার পোড়াটিলা এলাকার অমূল্য দত্ত বাড়ির আবুল বসরের স্ত্রী।
আজ দুপুরে আছিয়া খাতুন আদালতে হাজির হয়ে ট্রাইবুনালের কাছে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নারী ও শিশু নির্যান দমন ট্রাইব্যুনাল পিপি খন্দকার আরিফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আছিয়া খাতুন গত ২০২০ সালের ৯ আগস্ট চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ আদালতে তার ঘরে ঢুকে আসামী কে এম এনায়েত উল্লাহ খোকন তাকে শ্লীলতাহানি করেছে মর্মে নারী নির্যাতনের ধারায় মামলা করেন।
আদালত আছিয়া খাতুনের জবানবন্দি গ্রহণ করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই দীর্ঘদিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা না পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন পিবিআই জানায়, আছিয়া খাতুনের শ্লীলতাহানির অভিযোগ সত্য নয়। তাকে খোকন কিংবা অন্য কেউ শ্লীলতাহানি করেননি। পূর্ব শত্রুতার জেরে মামলায় ফাঁসাতে উক্ত মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন আছিয়া খাতুন। এর প্রেক্ষিতে আদালত ট্রাইব্যুনাল খোকনকে অভিযোগ থেকে খালাস দেয়। পরবর্তী খোকন বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৩১ মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন-২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১৭ ধারায় আছিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দীন বলেন, নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আছিয়া খাতুন আদালতে আজ বুধবার জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।