
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ডা. সামিনা আক্তারকে বহনকারী সেই রিকশাচালক গ্রেফতার করেছে সিএমপির কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে নগরী পুরাতন স্টেশন রোড় এলাকা থেকে মোহাম্মদ হৃদয় (১৯) নামে রিক্সাচালককে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় কোতোয়ালী থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দীন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ডা. সামিনা আক্তার ৩দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মারা যান। সন্ধ্যার পর থেকে দুর্ঘটনার সময় সিসিটিভির একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেখানে রিকশা চালকের অসাবধানতার কারণে দুর্ঘটনার বিষয়টি ধরা পড়ে। এতে মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে। পরে রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সে রিক্সাচালককে গ্রেফতার করে।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দীন বলেন, অটোরিকশা বেপরোয়া গতি ও ডা.সামিনাকে বহনকারী রিকশাচালক হৃদয়ের ভুলের কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমাদের মনে হয়েছে। সিএনজি অটোরিকশাচালক সিদ্দিককে দুর্ঘটনার দিন রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি জানান, গ্রেফতার চালক মো. হৃদয় কুমিল্লা জেলার ভাঙ্গুরা থানার ভূঁইয়া বাড়ির মো. নাছির উদ্দিনের ছেলে। তিনি বর্তমানে নগরের বাকলিয়া থানার মিয়া সওদাগরের পোল এলাকার মফিজ মেম্বারের বাড়িতে বসবাস করেন।
প্রসঙ্গত: গত মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর কাজীর দেউড়ির কাছে চট্টগ্রাম ক্লাবের সামনে সিএনজি অটোরিকশার ধাক্কায় রিকশা যাত্রী ডা. সামিনা আকতার মারাত্মকভাবে আহত হন। দুইদিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে মৃত্যুবরণ করেন।
ডা. সামিনা আক্তার ইউএসটিসি মেডিক্যাল কলেজের সাবেক ছাত্রী। তিনি সাউদার্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিইউতে দায়িত্বরত ছিলেন। গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলায়, তিনি নগরের চকবাজার থানার মেহেদীবাগ এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তার স্বামী মীর ওয়াজেদ আলীও একজন চিকিৎসক। তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।