
অভিনব কায়দায় কচুর ভেতর করে ইয়াবা পাচারকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে ১৮ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবাসহ তিন বোনকে আটক করেছে র্যাব-৭। জব্দ করা হয়েছে একটি সিএনজি অটোরিকশা।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নূরুল আবছার এ তথ্য জানান।
আটককৃতরা হলেন-ফাতেমা বেগম প্রকাশ আনোয়ারা (৪০), হালিমা বেগম (৩২) ও আসমাউল হুসনা (২৬)।
তারা সবাই আপন বোন এবং কক্সবাজারের বাসিন্দা। আসামি ফাতেমা বেগম মাদক ব্যবসা ও পাচারের মূল হোতা। মাদক ব্যবসায় হচ্ছে আসামি ফাতেমার পারিবারিক ব্যবসায়। তার পরিবারের আট বোনের সবাই মাদক (ইয়াবা) ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিওিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী একটি সিএনজি করে মাদক ব্যবসায়ী তিন বোন পাচারের জন্য চট্টগ্রামে আসছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে হাটহাজারী এলাকায় একটি চেক পোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি চালায় র্যাব। পরে সাদা পলিথিনে মোড়ানো কচুর মুখীর ভেতর অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১৮ হাজার ৬শ’ পিস ইয়াবাসহ তিনবোনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, মাদক পাচারের নিত্য নতুন কৌশল হিসেবে এ মাদক ব্যবসায়ীরা নিজের পাঁচ মাস বয়সী বাচ্চাকেও সঙ্গে নেয়। যাতে কেউ তাদের সন্দেহ না করে। প্রথমে তারা সবজির উপরের অংশ (কচুরমুখী) কেটে ভিতরে খালি করে ইয়াবা লুকিয়ে রাখে। তারপর পলিথিনের ব্যাগে মুড়িয়ে ইয়াবা রাখে। এসবের উপর টমেটো এবং অন্যান্য শাকসবজি নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, তাদের গাড়িটি চকরিয়া পর্যন্ত এলে পুলিশ ও অন্যান্য চেক পোস্ট এড়াতে ফাশিয়াখালী-লামা-আলীকদম-বিলছড়ি-লোহাগাড়া পথ অনুসরণ করে। পরে তারা সবাই সাতকানিয়ার কেরানিরহাটে এসে সেখান থেকে দুই দলে বিভক্ত হয়ে যায় এবং যেখানে একটি দল নিয়মিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অনুসরণ করে। অন্যটি কেরানিরহাট-বান্দরবান-চন্দ্রঘোনা-রাঙ্গুনিয়া রুট অনুসরণ করে এবং হাটহাজারী পিএস পর্যন্ত কোনো শনাক্ত বা চেক ছাড়াই পৌঁছায়। গ্রেপ্তার তিন আসামি এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।