
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
সীতাকুণ্ডে বিয়ের প্রলোভনে এক প্রশিক্ষণার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি দপ্তরের উপজেলা প্রশিক্ষক কেএম হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী তাকে দিনভর অবরুদ্ধ করে রাখে।
ওই প্রশিক্ষণার্থী তাকে বিয়ে করার কথা বললে দুইজনের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়। এসময় স্থানীয়রা ওই আনসার প্রশিক্ষককে আটক করে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার কার্যালয়ের একটি কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন আনসার ভিডিপির জেলা পরিচালক ও জেলা কমান্ডার। এক পর্যায়ে বিকাল ৫টার দিকে ওই তরুণীকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওই তরুণীর ভাষ্যমতে জানা যায়, কে এম হাফিজুর রহমান বিয়ে ও চাকরী দেওয়ার নাম করে প্রায় দেড় বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক করে। ওই তরুণী তাকে বিয়ে করতে বললে হাফিজুর রহমান নানা চল-চাতুরী করতে থাকে। বুধবার দুপুরে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলে এক পর্যায়ে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে হাফিজকে মারতে উদ্যত হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আনসার ভিডিপির উপজেলা কমান্ডার মুজিবুর রহমানের নির্দেশে কার্যালয়ের একটি কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। খবর পেয়ে দুপুর ২টার দিকে আনসার ভিডিপির চট্টগ্রাম জেলা পরিচালক ও জেলা কমান্ডার আশরাফ হোসেন সিদ্দিক ঘটনাস্থলে আসেন।
তিনি বলেন, তারা দুজনে আলোচনা করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে হাফিজের বিরুদ্ধে এই ঘটনা ও আগের কিছু অভিযোগের কারণে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।