ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

খুনের মোটিভ এবং হত্যাকান্ডের নির্দেশ দাতাকে বের করার দাবী পিতার

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

মেয়ে মিতু হত্যাকাণ্ড মামলায় স্বাক্ষ্য দিয়ে সিআইডি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন মোশারফ হোসেন।

পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যার মোটিভ কি, কে আদেশ করেছেন তা বের করার দাবী জানিয়েছেন বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সিআইডি কার্যালয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার নিকট তিনি এ দাবী জানান।

সকাল ১১টার দিকে সিএমপি’র গোয়েন্দা পুলিশ দফতরে দুপুর দুইটা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোয়েন্দা মো. কামরুজ্জামান।

দীর্ঘক্ষন জিজ্ঞাসাব শেষে বাবুলের শশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, মামলার অগ্রগতি দেখে আমি খুশি। কালু এবং মুছাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবী জানান তিনি।

মিতু হত্যায় পিতা হিসেবে কাউকে সন্দেহ করেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সুনিদির্ষ্ট করে কাউকে সন্দেহ করছিনা। পুলিশকে অনুরোধ করেছি কেন খুন করা হয়েছে একটি মেয়েকে, এ খুনের সাথে যেই জড়িত থাকুক তাকে যাতে আটক করা হয়।

মোশারফকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন সিআইডি কর্মকর্তা কামরুজ্জামান।

মিতুর বাবা মোশারফ বলেন, মুছা বাবুলের সোর্স ছিল কিনা সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত না। বাবুল সাহেবের বিষয়ে কোন ধরনের সন্দেহ নেই বলেও জানান তিনি। এ ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে ব্যক্তি বাবুল আক্তারের বিষয়ে কোন কথা বলেন নাই বলেও তিনি জানান। “ঘটনার সাথে বাবুল কেন আমি মিতুর বাবা জড়িত হলেও যেন তদন্ত করে বের করা হোক” বলেন পিতা মোশারফ।

এর পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর পুলিশের উপ কমিশনার (গোয়েন্দা) মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, এটা স্পর্শকাতর একটি মামালা। মিতুর পিতার সাথে আজকে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত কথা হয়েছে। আমাদের কিছু বিষয় ছিল সেগুলো আমরা জানতে চেয়েছি। উনার পক্ষ থেকে যে সব কথা ছিল এগুলোও আমাদেরকে বলেছেন।

এর আগে গত সপ্তাহে পুলিশকে স্বাক্ষ্য দিতে চট্টগ্রাম আসেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। ১৫ ডিসেম্বর অনেকটা গোপনীয়তা রক্ষা করেই বাবুল আক্তার চট্টগ্রামে এসে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার মুখোমুখি হন। বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রামে ডেকে এনে প্রায় তিন ঘণ্টা ‘জিজ্ঞাসাবাদ’ করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এ সময় তদন্ত কর্মকর্তার বেশির ভাগ প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেননি তিনি। কখনো বলেছেন জানেন না, আবার কখনো অঝোরে কেঁদেছেন বলে জানান তদন্ত সংস্থা সুত্র।

গত ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় মাহমুদা খানম মিতুকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন।

.

মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করেন। অস্ত্র-গুলিসহ অনেক জঙ্গিকে গ্রেফতার করেন। এ কারণে প্রতিহিংসাবশত জঙ্গিরা তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করতে পারে।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print