চট্টগ্রামের হাটহাজারীস্থ চিকনদন্ডী ইউনিয়নের কাজীপাড়ার কাজীবাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছে ৫ জন। শুক্রবার (১১ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ উঠেছে কাজীপাড়ার জনৈক সিদ্দিক আহমেদের ছেলে রাসেল এ ঘটনা ঘটায়। তার বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় গত ফেব্রুয়ারী মাসে একটি জিডি করা হয়েছিল।
সূত্র জানায়, কাজীপাড়ার কাজী বাড়ীর সাবেক ব্যাংকার কাজী মাহাবুবুল আলমের বসতভিটা দখলের উদ্দেশ্যে একাধিকবার চেষ্টা চালায় রাসের। গত ১১ ফেব্রুয়ারী রাসেল তার দলবল নিয়ে তালা ভেঙ্গে ঘরে দখলের জন্য গেলে উপস্থিত পাড়ার প্রতিবেশিদের তোপের মূখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর তার বিরুদ্ধে কাজী মাহবুবুল আলমের পুত্র কাজী মিজান নিরাপত্তা চেয়ে থানায় একটি জিডি করেন। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিন তদন্তের পর তাকে সাবধান করে দিলেও সন্ত্রাসী তুরুল্যা তার কার্যকলাপ অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে গত বুধবার মধ্যরাতে রাসেল তার দলবল নিয়ে কাজী মাহাবুবুল আলমের বসত ভিটার ঘর দখল করে নেয়।
শুক্রবার পাড়ার সমাজের গণ্যমান্য লোকজনসহ পাড়ার প্রতিবেশি তাকে অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে বললে সে হামলা চালায়। উপস্থিত লোকজনদের দিকে সে মরিচের গুড়া নিক্ষেপ করে। একই সাথে পাড়ার লোকজনকে হুমকি দিতে থাকে। সে চিৎকার করে বলতে থাকে তার কাছে গেলে কেউ নিস্তার পাবে না।
হামলায় কাজী ফারুক, কাজী মিজানসহ ৫ জন আহত হয়। ঘরের চারপাশে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে বিদ্যুৎ কানেকশন দিয়ে রাখে। ঘরের ভেতর দা-চুরি-কিরিচ নিয়ে অবস্থান করলে পাড়ার পক্ষ থেকে হাটহাজারী থানার হস্তক্ষেপ কামনা করে।
খবর পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুজাহিদের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। তাদেরকে সন্ত্রাসী রাসেলের আক্রমনাত্মক কার্যকলাপ স্থানীয় লোকজন অবহিত করে। পরে পুলিশ অবৈধ দখল করা ঘর থেকে তাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘর বন্ধ করে দেন।
ঘটনা নিয়ে কাজী মাহাবুবুল আলমের পুত্র কাজী মিজান বলেন, ‘ঘরটি বিগত ৬০ বছর আগে আমার বাবা নির্মান করেন। তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে আমার দাদা কাজী আব্দুল কাদেরের কাছ থেকে এটি পান। সেমি পাকা ঘরটি ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হলে আমরা সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ রেখে অন্যত্র বাস করছি। এ সুযোগে রাসেল ঘরটির দিকে নজর পড়ে।’
এ ব্যপারে সন্ত্রাসী বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলে জানা গেছে।
