
চট্টগ্রামে নাশকতার তিনটি পৃথক মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীসহ ৬৮ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে।
৩১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রামের পৃথক দুটি আদালত অভিযোগ গঠন শেষে তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
৮ বছর আগে নাশকতার অভিযোগে বিএনপির এই নেতাকে মূল আসামি করে তিনটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে ৩৫ জন দুটি মামলার আসামি আর একটিতে এই ৩৫ জনসহ ৬৮ জন আসামি রয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) এ কে এম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও এপিপি লোকমান হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলাগুলোতে বৃহস্পতিবার অভিযোগ গঠনের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসলাম চৌধুরীকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে শুনানি শেষে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ৮ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের একাধিক স্থানে বিভিন্ন যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। একই বছরের ১৭ নভেম্বর সীতাকুণ্ড এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে। তদন্ত শেষে পুলিশ আসলাম চৌধুরীসহ ৩৫ জন বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
এই দুই মামলায় আজ পঞ্চম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ অশোক কুমারের আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অশোক কুমারের আদালতে আসলামসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
অন্যদিকে ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর রাতে সীতাকুণ্ডের বদ্দারপুল এলাকায় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল ও বিস্ফোরক ছুড়ে মারার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। ওই মামলায় পুলিশ আসলাম চৌধুরীসহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
বৃহস্পতিবার ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সারোয়ার আলমের আদালত। ওই মামলায় ৬৮ আসামির মধ্যে ২৮ জন জামিনে রয়েছেন।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করার একটি তথ্য গণমাধ্যমে আসার পর ২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ১৬ মে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় (সন্দেহজনক) গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। ওই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর একই বছরের ২৬ মে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। মামলায় আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘বাংলাদেশের সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ’ আনা হয়।