
পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে চট্টগ্রামে আসা ২২ বছর বয়সী তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ ৩ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
গতকাল শনিবার নগরীর আকবরশাহ থানাধীন পাক্কার মাথার মীর আউলিয়া মাজার এলাকার পাহাড়ে এ ধর্ষণের পর গতকাল রাত থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত টানা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে সিএমপির আকবরশাহ থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল- আকবরশাহ থানার মীর আউলিয়া এন.আর স্টিল আবুল হোসেনের বাড়ির রেললাইনের পার্শ্বে মো. আবুল হোসেনের ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ (২৩), বোয়ালখালী থানার পশ্চিম কধুরখিল ১ নম্বর ওয়ার্ড চমদ আলীর বাড়ির সাইফুদ্দিন প্রকাশ সাইফুল মিস্ত্রির ছেলে মো.নয়ন (২৯) ও চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার ৮ নম্বর চিতশি ইউনিয়নের নরিমপর এলাকার আলী আকবরের বাড়ির মো. সোলাইমানের ছেলে মো. আব্দুল লতিফ (২২)।
সিএমপির আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন জানান, ধর্ষণের ঘটনার ৭ ঘন্টার মাথায় অভিযান চালিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতার মো. নয়ন তরুণীকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে কৌশলে আরিফ ও লতিফের সহায়তায় ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। এর আগে গত বছর আরিফ ও নয়ন কোতোয়ালী থানায় ধর্ষণের মামলা গ্রেপ্তার হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, ধর্ষিতা তরুণী পরিবারের সঙ্গে রাগ করে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে আসেন। পরবর্তীতে ট্রেনযোগে কুমিল্লায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করলেও টাকা না থাকায় রেললাইনের পাশ দিয়ে হাঁটতে থাকে। শনিবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর আকবরশাহ থানার শাপলা আবাসিক এলাকার মীর আউলিয়া মাজারের উত্তর পাশে একটি ঘরের সামনে ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত অবস্থায় বসে থাকে সে।
তখন যুবক নয়ন তরুণীকে তার বাড়িতে তার পিতা-মাতার সঙ্গে রাখবেন এবং কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখান। পরে সেখানে হাজির হয় আরিফ ও লতিফ। তারা তরুণীকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের পাদদেশে দেওয়ালে ঘেরা একটি নির্জন নির্মাণাধীন বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে তরুণীকে মারধর ও মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে একাধিকবার ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে করুণীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই তরুণী ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন আছেন।