
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ইউপি মেম্বারের কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে গাছের সাথে বেধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
বুধবার সকালে উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের মরিচা পাইকরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ৯৯৯ এ ফোন কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগী ওই নারীকে উদ্ধার করেছে।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন সম্পর্কে আমার মামা হন। আমার স্বামী বিদেশ যাবার পর থেকে তিনি বন্ধুকে দিয়ে আমাকে কুপ্রস্তাব দেন। তাতে রাজি না হওয়ায় ওরা গত ৪ এপ্রিল সেহরি রান্নার সময় ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন। তখন আমার চিৎকারে পালিয়ে যান তারা। এরপর থেকে তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত। বুধবার মোশারফের স্ত্রী ও তার বোনেরা আমার ও সন্তানদের ওপর আক্রমণ করেন। এসময় আমাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, মরিচা পাইকপাড়া গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে নাগবাড়ী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারফ মিয়ার সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো প্রবাসীর স্ত্রী লায়লা আক্তারের সাথে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধীকবার সালিশ হয়েছে। মীমাংসা না হওয়ায় সেই আক্রোসে নানা ভয়ভীতি ও বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালান ওই ইউপি সদস্য।
সম্প্রতি মোশারফ তার এক সহযোগীকে নিয়ে জোরপূর্বক ওই নারীকে ধর্ষনের চেষ্টা করেন। ওই নারীর ডাক চিৎকারে মোশারফ পালিয়ে যান। এ ঘটনায় গত ১৯ এপ্রিল টাঙ্গাইল আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। ক্ষিপ্ত হয়ে মোশারফ হোসেন তার পরিবারের লোকজন দিয়ে বুধবার সকালে ভুক্তভোগী নারীকে কাঁঠাল গাছের সঙ্গে বেধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন। খবর পেয়ে দুপুরের দিকে ওই নারীকে কালিহাতী থানা পুলিশ উদ্ধার করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, মোশারফ মিয়া এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেও কোন কথা বলতে সাহস পায়না। তবে এ ঘটনার দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, আমার বৈধ জমি থেকে আমার মা বোন কাঠাল পাড়তে গেলে ওই মহিলা বাঁধা দেয়।পরে একপর্যায়ে তাকে গাছে বেঁধে রাখে।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) রাজু আহমেদ জানান, ৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।