গ্রাহকদের চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনের স্ত্রী ফারাহ দীবাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ রবিবার (১২ জুন) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ মামলায় তার আট বছরের কারাদণ্ড, ৪০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল আদালত। গত ১২ মে আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে রফিকুল আমীনের ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রায়ে গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদের চার বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে তিন কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার বাকি ৪৩ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থপাচারের অভিযোগে দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক দুটি মামলা করেছিলেন। ২০১৪ সালের ৪ মে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন মোজাহার আলী সরদার। এতে ডেসটিনির গ্রাহকদের চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
এরমধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়। দুই মামলায়ই হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন আসামি।
