
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, কুমিল্লাতে ইবিএম এর নামে আরেকটি ভোট ডাকাতির মহড়া চলছে। সেখানে একজন সাংসদ এলাকায় অবস্থান করে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্গন করেছেন। অথচ এই নিশিরাতের সরকারের একজন মন্ত্রী বলেছেন, কুমিল্লা এই সাংসদ তার এলাকা থেকে বের হওয়া মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি । আজকে যদি কুমিল্লা এই সাংসদ তার এলাকা থেকে বের হওয়া মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি হয় তাহলে আমাদের নেত্রীর চিকিৎসা উনার মৌলিক অধিকার, উনাকে কেন সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে ? তিনি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী , সাবেক রাষ্টপতি এবং একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সহধর্মীনি হওয়া সত্বেও তাকে কেন সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছেনা ? কারণ এই স্বৈরাচারী, অগণতান্ত্রিক সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করছে , সাংবিধানিক অধিকার করছে। তাই যারা আজকে মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করে, সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করে তাদের ক্ষমতায় থাকার যোগ্যতা আছে কিনা ? যদি যোগ্যতা না থাকে তাদেরকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।
তিনি আজ ১৫ জুন (বুধবার) বিকেলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ ও রোগমুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরোও বলেন ,আজকে যারা পদ্মা সেতুর উন্নয়নের কাহিনী শুনায়, তাদের বলি পদ্মা সেতুতে ব্যবহৃত জার্মানির সেই বিশেষ হাইড্রোলিক হ্যামারটি যেন সেতুর পাশে একটি জাদুঘর তৈরি করে সেইখানে সংরক্ষণ করে, যাতে মানুয গিয়ে দেখতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়টি যেন পদ্মা সেতুর পাশে করা হয়, প্রধানমন্ত্রী যেন সারাক্ষণ পদ্মাসেতুর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারেন। যোগাযোগ মন্ত্রাণালয়টি যেন পদ্মা সেতুর পাড়ে নিয়ে আসা হয়, যাতে ওবায়দুল কাদের সাহেব প্রতিদিন পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পারেন।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, এই অবৈধ সরকারের কাছে আমরা কোন দাবি রাখতে চাইনা। এই সরকারের পতন হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে। এই সরকারের পতন হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ সারাদেশের মানুষ সুচিকিৎসা পাবে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো জনসমর্থন নাই। রাজনৈতিকভাবে তারা সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা জামানত হারাবে। তাই রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি খায়রুল আলম দিপু, হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান, মঈনুদ্দিন রাশেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, সিরাজুল ইসলাম ভুইয়া, এম. আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার, আনোয়ার হোসেন এরশাদ, সহ- সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, সাজ্জাদ হোসেন, দিদার হোসেন, আব্দুল মান্নান আলমগীর, শাহাদাত হোসেন সোহাগ, জাকির হোসেন, এমদাদুল হক স্বপন, নিজাম উদ্দিন বুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক খান, সম্পাদক মন্ডলী লুৎফর রহমান জুয়েল, নুর আলম, কামরুল হাসান, সহ-সম্পাদক রাশেদ পাটোয়ারী, মো. পারভেজ, হালিশহর থানা আহবায়ক আনোয়ার কাফি মুন্না, পাচঁলাইশ থানা আহবায়ক শফিউল আলম শফি, পতেঙ্গা থানা আহবায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন, বায়েজিদ থানা আহবায়ক আলতাফ হোসেন, চান্দগাঁও থানা আহবায়ক সাজিদ হাসান রনি, কোতোয়ালি থানা আহবায়ক এন মোহাম্মদ রিমন, বাকলিয়া থানা আহবায়ক মোঃ দুলাল মিয়া, বন্দর থানা আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন রাজু, ডবলমুরিং থানা আহবায়ক আকতার হোসেন, কোতোয়ালি থানা সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সোনামানিক, চান্দগাঁও থানা সদস্য সচিব মো. শহীদুজ্জামান, পাচঁলাইশ থানা সদস্য সচিব মহিউদ্দিন রুবেল, ডবলমুরিং থানা সদস্য সচিব নোমান সিকদার সোহাগ, আকবর শাহ থানা সদস্য সচিব তৌসিফ আহমেদ, পাহাড়তলী সদস্য সচিব ইসকান্দর হোসেন, হালিশহর থানা সদস্য সচিব মো. মুরাদ, বাকলিয়া সদস্য সচিব শামীম আহমেদ, থানা সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু সালেহ আবিদ, মোঃ পারভেজ, যুগ্ম এমদাদুল হক, কিং মোতালেব, আইনুল ইসলাম জুয়েল, মো. জামশেদ, মো. আলী, দেলোয়ার হোসেন খোকা, ইসহাক জয়, আব্দুল আজিজ, মো. হারুন, শফিকুল ইসলাম বাঁচা, মো.আমিন, মো. ইকবাল, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।