ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

নিজ বাড়ীতে পানিবন্দি মেয়র রেজাউল!

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

সাইফুল ইসলাম শিল্পী:

চট্টগ্রাম মহানগরীতে আজ সোমবার থেকে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত নেই। কিন্তু রাতের ভারী বৃষ্টির কারণে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে এখনো ডুবে আছে নগরীর অধিকাংশ এলাকা। এতে করে সকাল থেকে পথচারী অফিসগামী মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

এদিকে বৃষ্টির পানি জমে হাঁটু পানিতে ডুবে আছে স্বয়ং চট্টগ্রাম সিটি মেয়রের বাসভব্ন।

গতকাল রবিবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চট্টগ্রামে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। থেকে থেকে এ বৃষ্টি চলছে গত ৪/৫ দিন ধরে।

.

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে,গত ২৪ ঘণ্টায় নগরীতে সর্বোচ্চ ২৪১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে নগরীর বিভিন্ন দোকানপাট ও বাসাবাড়ির নিচতলায় পানি উঠছে। আবহাওয়া অফিসের মতে এমন বৃষ্টি থাকবে আরও দুইদিন।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, এই বৃষ্টি থেমে থেমে আরও দুইদিন থাকতে পারে। সকাল থেকে বৃষ্টি থেমে গেলেও বিকেলে আবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানান তিনি।

.

আজ সোমবার (২০ জুন) বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাতভর ভারি বৃষ্টিতে নগরের বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, আগ্রাবাদের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভোর সাড়ে ছয়টার পর বৃষ্টি থেমে গেলেও এখনও নামেনি বৃষ্টির পানি। হাঁটু পানি জমেছে চান্দগাঁও থানায়। কোনো কোনো জায়গায় রাস্তায় মাছ ধরতেও দেখা যায়।

সকালে সরেজমিনে মেয়র রেজাউল করিমের বহদ্দারহাটস্থ বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার প্রবেশমুখেই মেয়রের দুই তলার বাড়িটি। সামনের সড়ক থেকে বাড়ির উঠান পর্যন্ত হাঁটুর ওপর পানি। সেই পানি ঢুকে গেছে বাড়ির নিচ তলার মেয়রের শয়নকক্ষে। তবে পানির কারণে এখন মেয়র দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে থাকছেন বলে জানিয়েছেন বাড়ির দুই নিরাপত্তাকর্মী। বৃষ্টি থাকলেও পানি সরেনি এখনো। ফলে পানি বন্ধি হয়ে নিজবাড়ীতে আটকা পড়েন মেয়র নিজে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যে কাজ চলছে, তা পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত নগরবাসীকে এ ভোগান্তি পোহাতে হবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি এ বছরও থাকবে সেটি আগেই বলেছি। আগে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর জলাধার ছিল। এখন সেগুলো নেই। এগুলো ভরাট হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলে পানিগুলো যাবে কোথায়?

.

মেয়র বলেন, নগরীর পানি গিয়ে নদীতে পড়ে, সেই নদীর নাব্য কমে গেছে। নদীর জোয়ারের পানিও নগরীতে উঠছে। আগ্রাবাদেও জোয়ারের পানি উঠে। জলাধারের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা থেকে নগরীকে মুক্ত রাখার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অধীনে যেসব খাল-নালা আছে তা নিয়মিত পরিষ্কার করছি। আমরা আমাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। নগরীর খাল নালা গুলোকে পরিষ্কার রাখতেই হবে।

মেয়রের বাড়ির প্রবেশমুখে কথা হয় বহদ্দারবাড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ রফিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বহদ্দারবাড়ির সড়কটি কিছুদিন আগে উঁচু করা হয়। আশপাশের নালাও বড় করা হয়। কিন্তু এরপরও পানি থেকে আমাদের রক্ষা মিলল না। তিন দিন ধরে মেয়রের বাড়ির মতো আমাদের বাড়ির ভেতরে হাঁটুর ওপর পানি। রান্নাবান্না বন্ধ। বাইরে থেকে কিনে খেতে হচ্ছে।’

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print