গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সরকারদলীয় সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যার ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের ১৫ জন সহ ৭৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার বিশেষ আট থানায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে ১৪ জন জামায়াত ও একজন শিবিরের নেতা রয়েছেন। রংপুর জেলা পুলিশ কন্ট্রোলরুম এই তথ্য জানায়।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নিজ বাড়িতে সরকার দলীয় সাংসদ মনজুরুল ইসলামক লিটনকে ঘরে ঢুকে গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা।
এদিকে রংপুর পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের আওয়ামী লীগের এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটনের প্রথম নামাজের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে তার নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য এবিএম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য মাহবুব আরা গিনি, রংপুর সিটি মেয়র শরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টু, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দীন আহম্মদ ও সাধারন সম্পাদক এ্যাড. রেজাউল ইসলাম রাজু, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিয়ার রহমান সাফি ও সাধারন সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল সহ জেলা ও মহানগরসহ স্থানীয় নেতারা। এছাড়াও স্থানীয় নেতাকর্মী ও এলাকার হাজারো মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
প্রথম নামাজের জানাজা শেষে হেলিকপ্টার যোগে লিটনের মরদেহ ঢাকায় নেওয়া হয়। এরপর সোমবার সকাল ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিব হবে। একইদিন সুন্দরগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে নিটনের মরদেহ। সেখানে বাদ আসর তার জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে। এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মেডিকেলের অধ্যক্ষ অনিমেষ মজুমদার জানান, লিটনের দেহে মোট পাঁচটি গুলির চিহৃ পাওয়া গেছে। যার মধ্যে দুটি গুলি বুকের সামনে থেকে, একটি বুকের পিছন থেকে আর দুটি হাতে। এছাড়া বুক থেকে একটি গুলি বের করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারে কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়।
