চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ তাই এবার এলাকা থেকে মোহা. শাহাদাত হোসেন (৩২) নামে এক মুদি দোকানির গলিত মরেদহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে ডবলমুরিং থানা পুলিশ দাইয়া পাড়া সাবেক সোলেয়মান কমিশনারে বাড়ীর পাশে শৌচাগার থেকে শাহাদাতের লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেছে। যে স্থান থেকে মরদেহ পাওয়া গেছে তার আশে পাশেই শাহাদাতের মুদির দোকান রয়েছে।
তার গ্রামের বাড়ী নোয়াখালী জেলায়। গ্রামে তার স্ত্রী ও ৪ বছরের এক সন্তান রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধারণা শাহাদাতকে কে বা কারা শাহাদাত হোসেনকে ছুরিকাঘাত ও গলাকেটে হত্যার পর মরদেহ তার দোকানের পিছনে শৌচাগারে করে রাখে।
এর আগে গত শনিবার মধ্যরাত থেকে শাহাদাত নিজ দোকান থেকে নিখোঁজ হয়। এ ব্যাপারে গতকাল রবিবার পরিবারের পক্ষ থেকে ডবলমুরিং থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
নিহত শাহাদাতের বাবা শাহজাহান বলেন, পরশু রাতে দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে তাকে কেউ ধরে নিয়ে গলায় গামছা পেছিয়ে শ্বাসরোধ এবং পেটে ছুরি চালিয়ে হত্যা করেছে। তিনি বলেস কারা আমার ছেলেকে মেরেছে জানি না। তবে গ্রামের বাড়ীতে আমাদের শক্রুর আভাব নাই। সন্দেহভাজন ব্যাক্তিদের নাম পুলিশকে বলেছি। তারা আমার ছেলের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করবে।
শাহাদাত হোসেনের প্রতিবেশী মোঃ সুজন জানান, গত ৪/৫ মাস ধরে শাহাদাত তার এলাকায় তার বাবার মুদির দোকানের ব্যবসা করছে। হয়তো কোনধরণের লেনদেনের ঘটনার জের ধরে কেউ সাইফুলকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ দোকানের পিছনে টয়লেটে ফেলে রাখে। আজ সোমবার সকালে শাহাদাতের বাবা ওই টয়লেটে গেলে তার ছেলের গলিত লাশ দেখতে পায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, টয়লেটে এক যুবকের লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। আমরা হত্যা মামলা নেবো। পরে তদন্ত করে হত্যার ক্লু বের করা হবে।
