ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী (ভিডিও)

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখলে আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে এবং সত্যিকারের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত একটা দেশ হবে। আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। তাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।

তিনি বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জেএমসেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে পরাষ্ট্রমন্ত্রীর চট্টগ্রামে আগমন উপলক্ষে তাকে কালো পতাকা দেখিয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের একাংশ।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেকেই আমাকে ভারতের দালাল বলেন। কারণ অনেক কিছু হয়, আমি স্ট্রং স্ট্যাটমেন্ট দেই না৷ কিন্তু আমারও তো একটি কনস্টিটিউশনি আছে। সেটাকে তো আমি ইগনোর করতে পারি না।

তিনি বলেন, আমি ভারত সরকারকে বলেছি, আমার দেশে কিছু দুষ্ট লোক আছে, কিছু উগ্রবাদী আছে। আমার দেশ সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন না, আপনার দেশেও যেমন দুষ্ট লোক আছে, আমাদের দেশেও আছে। কিছুদিন আগে আপনাদের দেশেও এক ভদ্রমহিলা কিছু কথা বলেছিলেন, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে একটি কথাও বলিনি। বিভিন্ন দেশ কথা বলেছে, আমরা বলিনি। সেটা আপনাদের মঙ্গলের জন্য, আমাদের মঙ্গলের জন্য। আমরা যদি একটু বলি, তখন আমাদের উগ্রবাদীরা আরও সোচ্চার হয়ে আরও বেশি বেশি কথা বলবে। তাতে আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন হবে। আমাদের স্থিতিশীলতা বিঘ্ন হবে। সেইজন্য আমি ভারতবর্ষকে বলেছি যে, আমরা এমন ভাবে কাজ করব যাতে আমাদের কোন কারণে কোন উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডকে কখনও প্রশ্রয় দেব না। এটা যদি আমরা করতে পারি, ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ের মঙ্গল।

মন্ত্রী আব্দুল মোমেন আরও বলেন, আমি বলেছি, শেখ হাসিনা আছেন বলে ভারতের যথেষ্ট মঙ্গল হচ্ছে। এ বর্ডারে অতিরিক্ত খরচ করতে হয় না। আর আমাদের উন্নতি হচ্ছে বলে ভারতে লোক যায়। ২৮ লাখ লোক আমাদের দেশ থেকে প্রতিবছর ভারতে বেড়াতে যায়। ভারতের কয়েক লাখ লোক আমাদের দেশে কাজ করে। এটি সম্ভব হয়েছে আমাদের সোনালী অধ্যায়ের ফলে। সুতরাং আমরা কোনো ধরনের উস্কানিমূলক কাজ করব না।

তিনি বলেন, আসামের মুখ্যমন্ত্রী আমাকে বললেন, শেখ হাসিনার প্রতি আমাদের অনেক কৃতজ্ঞতা। আমি বললাম কেনো। তিনি বলেন, আমাদের এখানে রাস্তাঘাট হচ্ছে, শিল্প কারখানা আসতেছে। এগুলো সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। বাংলাদেশে সন্ত্রাসের কোন জায়গা নেই। এর ফলে আসামে ও মেঘালয়ে কোন সন্ত্রাসী নেই। তিনি বলছেন এই কারণে বিভিন্ন কোম্পানি এসে এখানে শিল্প কারখানা খুলছে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আপনারা মনে করবেন না আপনারা সংখ্যালঘু। আপনারা এ দেশের নাগরিক, সমান অধিকার। সুতরাং আপনারা আপনাদের অধিকার অবশ্যই অর্জন করবেন। এ বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা করার জন্য আমি আছি। আমরা এমন একটি সমাজ বিনির্মাণ করতে চাই, যেখানে উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ থাকবে না।

এর আগে জন্মাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, ঢাকা মহানগর জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক এস কে সিকদার, চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি দুলাল চন্দ্র দে ও সাধারণ সম্পাদক শংকর সেনগুপ্ত।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print