
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে একজন সেনা সদস্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে রেলের নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)র ৩ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব।
এ ঘটনায় ৪ আরএনবি সদস্যের বিরুদ্ধে ৫টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৬ আগষ্ট) সকালে র্যাব-৭ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ৪ আরএনবি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
আরও খবর: চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে অপ্রীতিকর ঘটনা, আরএনবি’র ৪ নিরাপত্তা কর্মী বরখাস্ত
চট্টগ্রামে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে সৃষ্ট অপ্রীতিকর ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানায় রেলের নিরাপত্তা বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে তাদের বরখাস্ত করা হয় বলে আরএনবির কর্মকর্তারা জানিয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া চার সদস্য হলেন- সিপাহী মাইন হাসান রাকিব, লিটন চাকমা, হাবিলদার মো. রবিউল ইসলাম, সিপাহী ইয়াছিন। এর মধ্যে ইয়াছিন ছাড়া বাকি ৩ জনকে র্যাব আটক করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, গত ৮ আগস্ট একজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য (সেনা সদস্য) চট্টগ্রাম থেকে মেইল ট্রেনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাত দশটায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত হন। তিনি ৯০ টাকা দিয়ে ট্রেনের টিকিট কেটে প্ল্যাটফর্মে থাকা ঢাকা মেইল ট্রেনে তার নির্দিষ্ট বগিতে উঠতে যাওয়ার সময় রেলওয়ের নিরাপত্তা ডিউটিতে নিয়োজিত কয়েকজন আরএনবি সদস্য তাকে ট্রেনের সামনের ৩টি বগির যেকোনও একটিতে যেতে বলে। এই বগিতে উঠতে হলে তাদেরকে ৩শ টাকা দিতে হবে বলে জানায়। টাকা না দিলে ওই বগিতে ওঠা যাবে না বলে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। কথাবার্তার একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওই সদস্যকে আরএনবির সদস্যরা অন্যায় ও অযাচিতভাবে গালাগালি, মারধর, রাইফেল দিয়ে ধাক্কাসহ ব্যাপক গালমন্দ করে। এবং বাহিনীর নাম ধরে গালাগাল করে। এ দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে একটি অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক। পরবর্তিতে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে র্যাব ঢাকা ও চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩ জন আরএনবি সদস্যকে আটক করে।
আটক তিন আরএনবি সদস্য হলেন- মো. মাইন হাছান রাকিব (২৩), রিটন চাকমা (২৪) ও মো. রবিউল ইসলাম (৩০)। এ ঘটনায় জড়িত সিপাহী ইয়াছিন র্যাবের নজরধারীতে রয়েছে। তাকে ধরা হবে।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি, আক্রমণ, মারামারি, হত্যার উদ্দেশ্য ও মানহানির অভিযোগে ৬টি মামলা করা হয়েছে।