
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিএনপির সমাবেশ ও মিছিলকে করে পুলিশের সাথে সংর্ঘষের ঘটনায় ৩ মামলা মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
এসব মামলায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদসহ ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত তিন থেকে ৪ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বাঁশখালী থানার কালীপুর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে ১৫ পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাতে ২টি এবং আজ শনিবার সকালে ১টিসহ বাঁশখালী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মোট ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্র্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩শ থেকে ৪শ জনকে আসামি করে ৩টি মামলা করা হয়েছে।
সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, মানুষের যান চলাচলে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলাগুলো করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, সারাদেশের মানুষ আজ স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দু:শাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। মানুষের এ গণজোয়ার দেখে সরকার দিশাহারা হয়ে পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছে। বিএনপির সভাসমাবেশে বাঁধা এবং হামলা চালিয়ে উল্টো নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। এসব হামলা মামলা দিয়ে বিএনপির আন্দোলনকে দমানো যাবে না। মানুষ এদের পতন করেই ঘরে ফিরবে।
উল্লেখ্য- নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, জ্বালানি তেল ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি, অসহনীয় লোডশেডিং এবং ভোলায় দুই নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাঁশখালী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে গতকাল বিকেলে।
হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে প্রধান সড়কের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। এতে নেতাকর্মীেদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ লেগে যায়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পুলিশের রাবার বুলেট কাঁদানো গ্যাস নিক্ষেপে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। পুলিশের দাবী সংঘর্ষে আনোয়ারা সার্কেলের এএসপি মো. হুমায়ুন কবির, ওসি কামাল উদ্দিন, এসআইসহ ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে হয়েছেন।