
চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া মিয়াখান নগর এলাকায় এলাকায় বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত কেন্দ্রঘোষিত সমাবেশে স্থানীয় কাউন্সিলের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
এসময় বিএনপি ও আওয়ামী নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
হামলার জের ধরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়ার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আলম মিয়ার বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাকলিয়ার বাদামতল এলাকায় বিএনপির পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ কর্মসূচি ছিল। সেখানে বিকেলে বিএনপির হাজার হাজার খানেক নেতাকর্মী জড়ো হন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়ার নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন মিছিল নিয়ে সেখানে যান। তখন উভয়পক্ষের ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ হয়।
এতে বিএনপির কর্মী মো. সিরাজ, নরুদ্দিন, মো. রনি, জাহাঙ্গীরসহ ১০ জন আহত হন।
অপরদিকে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা শোয়েব চৌধুরী, মো. সোহেলসহ পাঁচজন আহত হন।
ঘটনার জেরে নগরীর মিয়াখান নগর এলাকায় কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়ার বাসায় বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বিএনপির নেতারা এ হামলার ঘটনা অস্বিকার করেন।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, বাদামতল এলাকায় বিএনপির কর্মসূচি ছিল। তাদের কর্মসূচি মিয়াখান নগরে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশ শুরুর আগে হাজারের বেশি বিএনপি নেতাকর্মী জড়ো হন। এ সময় ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়ার নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন মিছিল নিয়ে সেখানে যান। তখন দুই গ্রুপ মুখোমুখি হয়ে যায়। পুলিশ তাদের গতিরোধের চেষ্টা করে। এরই একপর্যায়ে উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাস্থলে আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন ছিল। পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে উভয়পক্ষই চলে গেছে।
হামলার সঙ্গে বিএনপি জড়িত নয় দাবি করে নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন বলেন, বিএনপির নেতা কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি পালন করতে জড়ো হয়। ওই সময় জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের নেতৃত্বে নেতা কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়।
এদিকে সংঘাতের পর দক্ষিণ বাকলিয়া খেজুরতল থেকে মিছিল শুরু করে বউবাজার হয়ে মিয়াখান নগর ব্রিজে এসে সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপির কর্মসূচি শেষ হয়। জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ অসহনীয় লোডশেডিং এবং ভোলায় গুলি করে নূরে আলম ও আবদুর রহমানকে হত্যার প্রতিবাদে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়।