
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)তে প্রতিমাসের সমন্বয় সভায় উপস্থিত হন সর্বসাকুল্যে ২৫ জন। অথচ খাবারের যোগান দেয়া হয় ২২০ জনের। এতে প্রায় প্রতি সমন্বয় সভায় খরচ হয় সর্বসাকুল্যে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার থেকে এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে এই টাকা বিপিসিকে প্রদান করতে হয় না। তা চাপিয়ে দেয়া হয় বিপিসি নিয়ন্ত্রিত তেল বিপনন কোম্পানী পদ্মা, মেঘনা, যমুনাকে।
বিপিসির সচিবের নির্দেশে এই খাবার পাঠানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তেল কোম্পানী সমূহকে। খাবারের মেন্যু ঠিক করে দেয়া হয় বিপিসি সচিবালয় থেকে। গত ২১ সেপ্টেম্বর চলতি মাসে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভার জন্যে ২১০ লাঞ্চ প্যাকেট পাঠাতে হয়েছে মেঘনা পেট্রোলিয়াম কোম্পানীকে। ৭০০ টাকা মূল্যে প্রতিটি লাঞ্চ প্যাকেটে মেন্যু ঠিক করে দিয়েছে বিপিসি কর্তৃপক্ষ। খাবারের মেন্যুতে ছিল ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই দুই পিচ, রূপচাঁদা ফ্রাই এক পিচ, খাসির রেজেলা, মিক্স ভেজিটেবল, মিষ্টি দই অথবা পুডি, কোক কেং, মিনারেল ওয়াটার। আগ্রাবাদ হোটেল এ্যাম্বেসেডর থেকে সরবরহকৃত ২১০ প্যাকেটের মূল্য আসে এক লক্ষ সাতান্ন হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, বিপিসি সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মোতাবেক খাবারের বিল অফিস থেকে নিয়মিত পেয়ে থাকে। এদিকে গত অর্থ বছরে পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনে ট্রেনিং এর আপ্যায়ন ভাতা বিশ লক্ষ টাকা ও ট্রেনিং এর খরচ বাবদ বিশ লক্ষ টাকা সর্বমোট চল্লিশ লক্ষ টাকা, বিপিসি টাকা লিয়াজো অফিসের খরচ তিন কোম্পানীকে দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।