
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
খালেদা জিয়ার জীবন ভুলে ভরা উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন, তাই তিনি জীবনে উন্নতি করতে পারবেন না। মন্ত্রী শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার আহমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দু’দিন ব্যাপী শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান কালে এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির সরকারের আমলে দেশের রেল লাইনের কোন উন্নয়ন হয়নি। দেশের মানুষের চিন্তা করে রেল যাত্রীদের সুবিধাত্বে নতুন রেল লাইনের কাজ হচ্ছে। দেশে আগে কোন রেল মন্ত্রণালয় ছিল না, আগে যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের অধিনে ছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী আলেদা রেলমন্ত্রণালয় করে আমাকে তার দায়িত্ব দেয়। তিনি আমাকে বলেন দেশের সব জয়গায় যেন রেল যেতে পারে সেই ব্যবস্থা নিতে। আমাদের জননেত্রী মন্ত্রী প্রধান দেশের সব অবকাঠামো উন্নয়ন করছে, আর খালেদা জিয়া ধ্বংস করছে। মানুষ পুড়িয়ে রেল লাইন পুড়িয়ে। এর আগে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম দু’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী আরো বলেন, খালেদ তিনি গত নির্বাচনে অংশ নেননি, আগমী নির্বাচনে অংশ নিবেন কিনা তিনি সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগছেন, আজ বিএনপি নেতাকর্মীরা হতাশ, আজ দেশের উন্নয়ন হচ্ছে আগামীতেও হবে, উন্নয়ন কেউ বাধগ্রস্থ করতে পারবে না।
অতি শীঘ্রই নাজিরহাট থেকে হেঁয়াকো পর্যন্ত রেল লাইন করা হবে উল্লেখ্য করে মন্ত্রী নাজিরহাট রেললাইনে আরেকটি একটি ডেমু ট্রেন দেয়া হবে বলে ফটিকছড়িবাসী অশাস্ত করেন। এছাড়া আগামী ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইন চালু হবে। লাকসাম-আখাউড়ার রেল লাইনের কাজ শেষ হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেন চালু হলে মানূষ মাত্র দু’ঘন্টায় যাতায়ত করতে পারবে। কর্ণফুলী নদীর উপর ৬ মাস পর রেল সেতুর কাজ শুরু হবে।
মাইজভান্ডার আহমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ বিদ্যালয়ের যে কোন কাজে আমার কাছে আসলে আমি সব কাজ করে দেব।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন পরিশ্রম করেন দেখবে তার সুফল পাবেই পাবে, প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্বাচনের জন্য ৫ বার টিকেটে দিয়েছে প্রথম, ২য় বার ফেল করেছি, ৩য়, ৪থ ও ৫ম বার জয়লাভ করেছি, কিন্তু ফেল করে হতাশ হয়নি কোন। আমি ছিলাম একজন কৃষকের ছেলে আমার প্রতিদদ্বী ছিলেন কোটিপতি, আমি মানুষের ধারে গিয়ে ভোট সংগ্রহ করেছি, পরিশ্রমের কারণে সবাই আমাকে মূল্যয়ান করেছে।
সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমটি পেয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা সদস্য ড. মাহমুদ হাসান, এডিসি মুহাম্মদ জাফরুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুল হক, সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী, শহিদুল আজিম আযাদ, ব্যাংকার নেজাম উদ্দিন,গোলাপ সবুর দুলাল, নূর নবী রোশন এডভোকেট উম্মে হাবিবা প্রমূখ।
ফরিদ/এসআইএস.