ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার ১৮ মাইলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ভেটেরিনারি কলেজের ভিপি সাইদুর রহমান মুরাদ (২৫), একই কলেজের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম (২৩) ও শমরেষ কুমার (২২)।
জানা গেছে, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের ধাওয়া খেয়ে নিহতরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের মোটরসাইকেল রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বিদ্যুতের খুটি বোঝাই ট্রাকের পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজনের।
ভেটেরিনারি কলেজ সংসদের জিএস সাজিবুল ইসলাম সাজিব বলেন, কলেজের একটি পক্ষ আমাকে মারার জন্য দীর্ঘদিন ধরে টার্গেট করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ভিপি মুরাদসহ আমরা ছয়জন তিনটি মোটরসাইকেলে কলেজে ফিরছিলাম। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষরা আমাদের ধাওয়া করে। এ সময় পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তারা আমাকে আঘাত করে। এতে আমি পাশে থাকা একটি গর্তে পড়ে যাই। হামলাকারীদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে ভিপি মুরাদ তার সঙ্গে থাকা দুজনকে নিয়ে দ্রুত কলেজের দিকে যায়। এমন সময় হামলাকারীরা ৮/১০টি মোটরসাইকেল তাদের ধাওয়া করে। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা আমাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঝিনাইদহ শহর থেকে একটি মোটরসাইকেলে তিনজন কলেজের দিকে আসছিলেন। আঠারো মাইল এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। তিন জনই ঘটনাস্থলে মারা যান।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহতরা সবাই ভেটেরিনারি কলেজের শিক্ষার্থী। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি খবর পেয়েছিলাম। এ সময় ভেটেরিনারি কলেজের এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে আহত করা হয়। ওই তিনজন মোটরসাইকেলে করে পালানোর চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষ তাদের ধাওয়া করে। পরে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।
এর আগে শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে যশোরে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আসিফ (১৯), আরমান (১৯, সালমান (২০) নামে তিন কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়।
