
চট্টগ্রাম মহানগরীর আলমাস সিনেমার অদূরে ২টি গাড়ি ভাঙচুর ও একটি পিকআপে আগুন দেয়ার ঘটনায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে সিএমপির কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন ভাঙচুরের শিকার গাড়ির এক মালিকের দায়ের করা মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরও ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী দেখানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ঢাকায় বিএনপির সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ও একজন নিহত হওয়ার জেরে চট্টগ্রামে ছাত্রদলের মশাল মিছিল থেকে এ অগ্নি সংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে।
তবে নগর ছাত্রদলের পক্ষ থেকে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা অস্বিকার করা হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, ছাত্রদলের ঝটিকা মিছিল থেকে আলমাস সিনেমার মোড়ে একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও দুইটি প্রাইভেটকার ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ একটি গাড়ির মালিক বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
সিএমপির পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি) অতনু চক্রবর্তী বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে ‘আলমাসের মোড়ে দুটি প্রাইভেটকার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গাড়িতে আগুন দেওয়ার কোনো ঘটনা আমরা শুনিনি। ভাঙচুর করা গাড়ি দুটি থানায় আছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি জানান, রাতে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল বের করেছেন। তাঁরা এই ঘটনা ঘটাতে পারে। সিসিটিভি দেখে গাড়ি ভাঙচুরকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মুহাম্মদ সাইফুল আলম বলেন, ঢাকায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে হত্যা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মশাল মিছিল বের করি আমরা। শুনেছি আমরা মিছিল শেষ করে চলে আসার পর কে বা কারা গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন দিয়েছে। এর সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জড়িত নন। ছাত্রদলের নেতাকর্মীকে ঘায়েল করতে আওয়ামী লীগের কর্মীরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে।