
জেলার রাঙ্গুনিয়ায় গরুর গলা থেকে রশি খুলে দেয়ার মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাইকে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গতকাল মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুইজন হলেন— দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার পশ্চিম খুরুশিয়া এলাকার মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে মো.সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সাইফু (৪২) ও তার ভাই মো.মোর্শেদুল আলম (২২)।
এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম খুরুশিয়া গ্রামে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে জহির আহমেদের ছেলে জালাল উদ্দিন (২৮) ও তার ছোট ভাই কামাল হোসেন (২৫) নিহত হন।
আরও খবর: রাঙ্গুনিয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় দুই ভাইকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার জানান, রাঙ্গুনিয়ায় দুই ভাইকে হত্যার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় মামলার এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি মো.সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সাইফু গ্রেপ্তার এড়াতে জন্য নগরীর বন্দর থানাধীন পূর্ব নিমতলা ডিয়ারপাড়ায় একটি ভবনের ৪র্থ তলায় আত্মগোপন করেছিল। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি মো. মোর্শেদুল আলমকে নগরীর বন্দর থানার বেচাশাহ রোডস্থ পশ্চিম গোসাইলডাঙ্গার একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফপ্তারকৃত দুইভাইকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য- গত ১৬ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে জালাল তার গরুকে খাস খাওয়ানোর জন্য মাঠে বেঁধে আসেন। কিছুক্ষণ পর গিয়ে দেখেন কে বা কারা তার গরুর গলার দড়ি খুলে নিয়ে গেছেন। খুঁজতে গিয়ে খুঁটিসহ দড়িটি প্রতিবেশী শফিকুলের হাতে দেখতে পান। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হলে শফিকুলের মাথায় আঘাত লেগে ফেটে যায়। এর জেরে বিকেলে জালালের ওপর হামলা চালান শফিকুলের তিন ছেলে খোরশেদ, মোরশেদ ও সাইফুল। এ সময় জালালকে বাঁচাতে তার ভাই কামালসহ প্রতিবেশী ইদ্রিছ ও তার তিন সন্তান এগিয়ে আসেন। তখন প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই ভাই জালাল ও কামাল। এ ঘটনার পর পরই শফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে খোরশেদকে ধরে স্থানীয়রা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন শফিকুলের অপর দুই ছেলে মোরশেদ ও সাইফুল ইসলাম।
এ ঘটনায় পরদিন ১৭ ডিসেম্বর সকালে তাদের বাবা জহির আহমেদ দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় চার জনকে আসামি করা হয়।