চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে নগরীর আগ্রাবাদস্থ গোসাইলডাঙ্গা নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তার সাইফুল আলম বন্দর থানার তিন নম্বর ফকিরহাট গোসাইলডাঙ্গা এলাকার মো. হারুনের ছেলে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, নগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চারটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের আহবায়ক মো. সাইফুল আলমকে গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো. নাছির উদ্দীন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেগম রোজী কবির, গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাদেশের মানুষ যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে বর্তমান অবৈধ সরকারের পতনের আন্দোলনে রাজপথে নেমে আসছে তখনই সরকার গ্রেপ্তার আতঙ্ক শুরু করে দিয়েছে। জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা বিএনপির ওপর দমন পীড়ন চালাচ্ছে। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম একজন পরিশ্রমী, ত্যাগী ও বলিষ্ট ছাত্রনেতা। ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করতে সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছিল। তাই তাকে রাজনীতির মাঠ থেকে দূরে রাখতেই অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে। তার মামলাগুলো সব রাজনৈতিক মামলা। এভাবে একজন নিরাপরাধ ছাত্রদল নেতাকে তার পরিবারের সদস্যদের লাঞ্ছিত করে বাসা থেকে গ্রেফতার করা অত্যন্ত জঘন্য ঘটনা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশ পরিচালনায় সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে আওয়ামী সরকার ফ্যাসিবাদী আচরণের আশ্রয় নিয়েছে। মানুষের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকারকে ধ্বংসের মাধ্যমে সমগ্র দেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছে। নেতা কর্মীদেরকে গ্রেফতার এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক কাহিনী তৈরী করে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। বর্তমানে সরকারের দুঃশাসনের মাত্রা ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। চট্টগ্রামের এই মেধাবী ছাত্রনেতাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার সংবিধান স্বীকৃত জনগণের অধিকার বাস্তবায়নের পরিবর্তে হুমকি ধমকি ও উস্কানীমূলক যে সব ভাষায় বক্তব্য রাখছেন, তা নিন্দনীয়। তারা দেশকে নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশের জনগণ আজ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। জনগণের এই ঐক্যকে কিছুতেই রুখে দেয়া যাবে না। ছাত্রদল নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার ও হয়রানি করে নেতৃত্ব শূন্য করার কোনো পদক্ষেপই সফল হবে না। জনগণ সম্মিলিতভাবে রাজপথে নেমে তাদের কাঙ্কিত বিজয় ছিনিয়ে আনবে।
নেতৃবৃন্দ গ্রেফতার ও জুলুম নির্যাতন বন্ধ করে গ্রেফতারকৃত ছাত্রনেতা সাইফুল আলম সহ সকল বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবী জানান।