
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের চলমান সংকট নিরসনে নতুন আরও ১০টি মেশিন বসানো হচ্ছে। গত বুধবার ঢাকা থেকে এসব মেশিন পৌঁছানোর পর ইতোমধ্যে ৩টি মেশিন বসানো হয়েছে। এসব মেশিন চালুর হওয়ার পর মোট ১৭টি মেশিনের মাধ্যমে নির্বিঘ্নে গরিব রোগীদের ডায়ালাইসিস সেবা প্রদান করা হবে।
জানা গেছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এসব মেশিন পর্যায়ক্রমে কিডনি ওয়ার্ডে স্থাপন করা হবে। তখন অসহায় ও দরিদ্র রোগীদের নির্বিঘ্নে কম খরচে ডায়ালাইসিস সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম আহসান বলেন, নতুন ১০টি ডায়ালাইসিস মেশিন এসেছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এসব মেশিন ওয়ার্ডে স্থাপন করা হবে। আগের ৭টি সহ মোট ১৭টি মেশিনের মাধ্যমে বেসরকারির চেয়ে কম খরচে গরিব রোগীদের ডায়ালাইসিস সেবা প্রদান করা যাবে।
চমেক হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. নুরুল হুদা বলেন, নতুন তিনটি মেশিন চালু হয়েছে। আমাদের আগে ৭টি ডায়ালাইসিস মেশিন চালু ছিল।মেশিনগুলো এমন সময়ে এসে পৌঁছেছে, যখন পিপিপি’র আওতায় হাসপাতালে স্থাপন করা স্যান্ডর ডায়ালাইসিস সেন্টারে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন-বিক্ষোভ করে আসছে কিডনি রোগীরা।
চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গরিব রোগীদের ডায়ালাইসিস সেবা দিতে ২৫ জনের একটি তালিকা চুড়ান্ত করা হয়েছে। হাসপাতালের বর্তমান সক্ষমতা দিয়ে তাদেরকে ডায়ালাইসিস সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া নতুন করে আসা ১০টি ডায়ালাইসিস মেশিন চালু হলে আরও শতাধিক গরিব রোগীকে ডায়ালাইসিস সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
এখানে সরকারিভাবে কম খরচে ডায়ালাইসিস সেবা নিতে পারবেন কিডনি রোগীরা। একজন রোগীকে ছয় মাসের জন্য একবারে দিতে হবে ২০ হাজার টাকা। প্রতি সপ্তাহে দুই সেশনে ৪১৬ টাকায় এ ডায়ালাইসিস সেবা দেওয়া হবে।