
নগরীর কালুরঘাট শিল্প এলাকায় টিম্বার (কাঠে) ব্যবসার লাইসেন্স নিয়ে নিয়ে কনটেইনার ডিপোর ব্যবসা করে আসছিল হাজী সাবের টিম্বার কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
আজ রবিবার দুপুরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কারে ব্যাপক অনিয়ম দেখা যায়। প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্স ও ফায়ার লাইসেন্স এর নামের সাথে ব্যবসার ধরনের কোন মিল খুঁজে না পেয়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তিনি জানান, গত ১৪ বছর ধরে ডিপো পরিচালনা করলেও তাদের ছিলো না কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান। অবৈধভাবে মজুদ রাখা হয়েছে প্রায় ২শ ড্রাম ডিজেল, সব ড্রামেরই মুখ খোলা ছিল। যার আশেপাশে পরে ছিল সিগারেটের ছাই।

ডিপোতে নেই পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়া গত ১৪ বছর ডিপো চালনা করলেও ফায়ার সেফটি প্লান অনুমোদন এর জন্য তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ২০ একরের এই ডিপোতে প্রায় ১৫০০ কন্টেইনার থাকার কথা থাকলেও ছিল মাত্র ৩৫ টি যার বেশীরভাগই অকেজো। ডিপোতে ১০০ জন বেতনভুক্ত কর্মচারী থাকলেও ফায়ারের প্রশিক্ষণ রয়েছে মাত্র ৪ জনের যদিও তাদের কেউই ফায়ার এক্সটিংগুইসার ব্যবহার করতে জানেন না। ডিপোতে ছিল না কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর থেকে পাশ করা কোন লে আউট প্লান।
এসকল অনিয়মের অভিযোগে ডিপোর এজিএম মোঃ এনামুল হককে ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং আগামী ১ মাসের মধ্যে যাবতীয় ত্রুটি বিচ্যুতি সংশোধনের আদেশ দেয় হয়।
এ বিষয়ে পরবর্তীতে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম এর জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ” যাদের ফায়ার লাইসেন্স নাই বা লাইসেন্স থাকলেও ত্রুটি বিচ্যুতির কারণে মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে তাদেরকে কোন ছাড় নেই। বি এম ডিপোর মত ঘটনা আর যেন এই চট্টগ্রামে না ঘটে সেজন্য জেলা প্রশাসনের এই অভিযান চলমান থাকবে।”