
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে সাইফুদ্দিন ইমরান হত্যা মামলায় ৩ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
হত্যাকাণ্ডের ৩০ বছর পর বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারী) বিকেলে চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল হাসনাতের আদালত এ রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন-সাইফুল আলম, সাহাবুদ্দিন ও আমীর হামজা। তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন দণ্ডিত নয়জন হলেন-কবীর আহমদ, দিদারুল আলম ওরফে মিলন, আবু আবদুল্লাহ ওরফে কিরণ, সিদ্দিক আহমদ, রুহুল আমীন, হুমায়ন কবীর, আরিফ হোসেন, আনোয়ারুল আজিম ও জয়নাল আবেদিন।
চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩ জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন আদালত। আমৃত্যু কারাদণ্ডিত কবির আহাম্মদ ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হুমায়ন কবির রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন। পরে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। আসামি হেঞ্জু মিয়ার মৃত্যু হওয়াতে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্তরা গ্রেপ্তার হলে মৃত্যু পর্যন্ত সাজা ভোগ করবেন। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ ৩০ বছর। বলে উল্লেখ করেছেন বিচারক।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের ১৮ জুন মীররসরাই থানার সাহেরখালি ভোরের বাজার এলাকায় তৎকালিন উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজ নেতা মো. সাইফুদ্দিন ওরফে ইমরানের উপর সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় কিরিচ, লোহার রডসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আক্রমণ করা হয়। সাইফুদ্দিনের সঙ্গী নাজিম উদ্দিন ও আলাউদ্দিন ভুক্তভোগীকে রক্ষা করতে এলে তাদেরকেও জখম করা হয়। পরে হাসপাতালে সাইফুদ্দিনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সাইফুদ্দিনের বাবা ইসমাইল সিদ্দিকী বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন।