
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. গোলাম ইয়াজদানীর ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে খুলশী থানার পশ্চিম বাঘঘোনা এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) বিভাগের একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার সাহাব উদ্দিন এস জে ট্রেডার্সের মালিক। ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। এর আগে এ ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে খুলশী থানায় মামলা করা হলে এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেনএসজে ট্রেডার্সের সাহাবুদ্দিন, শাহ আমানত ট্রেডার্সের সঞ্জয় ভৌমিক ওরফে কঙ্কন, মাসুদ এন্টারপ্রাইজের মো. ফেরদৌস, শাহ আমানত ট্রেডার্সের সুভাষ, মেসার্স খান করপোরেশনের হাবিব উল্ল্যাহ খান, মেসার্স নাজিম অ্যান্ড ব্রাদার্সের মো. নাজিম, মেসার্স রাকিব এন্টারপ্রাইজের মো. ফিরোজ, মো. ফরহাদ, ইফতেখার অ্যান্ড ব্রাদার্সের মো. ইউসুফ ও জ্যোতি এন্টারপ্রাইজের আশীষ। তাঁদের মধ্যে কঙ্কন, ফেরদৌস, সুভাষ, মাহমুদুল্লাহ ও সাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ডিবি (উত্তর-দক্ষিণ) বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, চসিকের উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো.গোলাম ইয়াজদানীর কক্ষ ভাঙচুর ও মারধারের মামলার এক নম্বর আসামি সাহাব উদ্দিনকে রাত আড়াইটার দিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার সাহাব উদ্দিন জানান, ঘটনার পর গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। ঘটনার সঙ্গে সাহাব উদ্দিন সরাসরি জড়িত ছিলেন।
উল্লেখ্য-গত ২৯ জানুয়ারি রাতে নগরের খুলশী থানায় চসিকের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ঘটনায় পরপরই ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি বেলা পৌনে ৪টার দিকে নগরের টাইগারপাসস্থ চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রকল্প পরিচালকের ৪১০ নং কক্ষে এই হামলা হয়। এ সময় প্রকল্প পরিচালকের নামফলক, টেবিলের কাচ ভেঙে ফেলেন ঠিকাদাররা।